ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১১:০৪:৪৪ এএম

অনুদানের টাকাও ফেরত নিচ্ছে ভারত!

১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:০ এএম

অনুদানের টাকাও ফেরত নিচ্ছে ভারত!

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশের ব্রাক্ষণবাড়িয়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত রেলপথে যোগাযোগ বাড়াতে ট্রানজিট হিসেবে বেছে নেওয়া হয় বাংলাদেশকে। ভারতের স্বার্থে বাংলাদেশের বুক চিরে তৈরি হয় আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ। প্রকল্পের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে, কাজ শেষে বেঁচে গেছে ১৫৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভারতের অনুদান ১২৬ কোটি টাকা। নিজেদের স্বার্থের প্রকল্প শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশকে দেওয়া এ অনুদানের টাকা এখন ফেরত নিচ্ছে ভারত।

 

প্রকল্পের বেশির ভাগ কাজ শেষে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি রেলপথটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করেন। যদিও রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এখন পর্যন্ত এ রেলপথের কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি।



ভারতের উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের ৪০০ কিলোমিটারের সহজ পথে রেলপথের জন্য এ প্রকল্পটি হাতে নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এ ব্যয়ের মাত্র ৫৭ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের, বাকি ৪২০ কোটি টাকা ভারত সরকারের লাইন অব ক্রেডিট থেকে পাওয়া (এলওসি) অনুদান। প্রকল্পটির অবকাঠামোসহ সব ধরনের কাজ শেষ হয় গত বছরের জুনে। বেঁচে যায় ১৫৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভারতের অনুদান বাঁচে ১২৬ কোটি টাকার বেশি।


সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু এ অর্থ বাংলাদেশকে দেওয়া অনুদান। বাংলাদেশ ভারতের কাছে বেঁচে যাওয়া ১২৬ কোটি টাকা অন্য কোনো প্রকল্পে কাজে লাগাতে অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু ভারত তাতে রাজি হয়নি।

 

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণকাজ শুরু হয়। এই রেলপথের বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন কারণে দেড় বছর মেয়াদি প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে ছয় বছরেরও বেশি।

 

ব্যয় সমন্বয় করতে প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনী পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। ১২ জানুয়ারি এর ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভাও হয়েছে। সভা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

 

পিইসি সভায় উপস্থিত থাকা পরিকল্পনা কমিশনের একজন কর্মকর্তা আমার দেশকে জানিয়েছেন, এ প্রকল্পটি বাংলাদেশের কোনো কাজেই আসবে না। এটি সম্পূর্ণ ভারতের স্বার্থে তৈরি হয়েছে। তবে অনুদানের অর্থ অন্য কাজে ব্যয় করার জন্য ভারত কোনো সায় দেয়নি। তারা বেঁচে যাওয়া অর্থ ফেরত নিচ্ছে।

অনুদানের টাকাও ফেরত নিচ্ছে ভারত!