ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৩:৫২:৪০ পিএম

অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তায় বিভিন্ন সংস্থা এগিয়ে আসছে

১৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৪:০ এএম

অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তায় বিভিন্ন সংস্থা এগিয়ে আসছে

ছবি: সংগ্রহ

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তারা সহায়তা করতে চায়; তবে কিছু শর্ত দিচ্ছে, এসব শর্ত কিছু না।

 

পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পিকেএসএফের প্রধান কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

 

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা একটা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব পালন করছি। আমরা শর্ট টার্মে কিছু কাজ করছি, লং টার্মের সংস্কারমূলক কাজ আমাদের নয়। এসব কাজ করবে রাজনৈতিক সরকার। যাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য থাকবে। তবে আমরা যে কাজ শুরু করে যাচ্ছি, তা অনুসরণ করে পরবর্তী সরকার এর ধারাবাহিকতাকে রক্ষা করতে হবে।

 

 

পিকেএসএফের প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বদিউর রহমান বলেন, গরু ছাগল পালন করে দারিদ্র্য বিমোচন করা যাবে না। তথ্য-প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে। তথ্য-প্রযুক্তি ছাড়া দারিদ্র্য বিমোচন হবে না। এখন উন্নয়নের চালক প্রযুক্তি।

 

তিনি আরও বলেন, মানুষের মধ্যে এখন হতাশা বিরাজ করছে। ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই হতাশ। অনেক প্রতীক্ষা ও ত্যাগের মাধ্যমে একটি পরবর্তিন এসেছে, এই পরিবর্তন নিশ্চয়ই হতাশা দূর করতে ভূমিকা রাখবে।

নারীর অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গিরও অমূল পরিবর্তন হয়েছে। শিক্ষা, জ্ঞান অর্জনে ক্ষেত্র বিশেষে পুরুষকেও ছাড়িয়ে গেছে। এ পরিবর্তন পিকেএসএফেও এসেছে। এই পরিবর্তন আমাদের বড় অর্জন, যোগ করেন বদিউর রহমান।

পিকেএসএফ চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বলেন, সৃস্টিশীল প্রতিষ্ঠান থাকলে আর কিছু লাগে না। পিকেএসএফ যেভাবে চলছে, এটা যেন সেভাবে চলে।

প্রতষ্ঠিানটির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, গ্রামীণ অর্থায়ন ও কর্মীদের উৎপাদিত পণ্যের বাজার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে। উন্নত কৃষি ও বীজ উৎপাদনে ভূমিকা রাখছে। নারী ক্ষমতায়নেও ভূমিকা রাখছে।

 

 

সাতক্ষীরার ফাতিমা খাতুন বলেন, গণমুখী ফাউন্ডেশন থেকে প্রশিক্ষণ এবং ঋণ নিয়ে মুরগির খামার শুরু করি। খামারটি শুরু করি নোনা পানির ওপর মাচা করে। সেখান থেকে বেঁচে থাকার মতো উপার্জন হতে থাকে। এখান থেকে খাদ্য, নিরাপদ জীবন-যাপন ও বাসস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হয়ছে।

 

জয়পুর হাটের রুস্তুম আলী লেখাপড়ার পাশাপাশি বিট রুট চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে পেঁপে ও আদা চাষ শুরু করেন। উৎপাদিত পণ্য স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি অনলাইনে বাজারজাত করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করছেন বলে জানান।

 

ঠাকুরগাঁয়ের মাসুমা খানম ১২ হাজার টাকা ঋণ দিয়ে পনির ও মাঠা তৈরি শুরু করেন। এখন তার চারটি চিজ ও মাঠা তৈরির কারখানা রয়েছে। তার পণ্য বিদেশেও রপ্তানি হয়। ব্যাংকও তাকে ১০ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে।

 

ঢাকার মাসুদ রানা জানান, পিকেএসএফের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের জাগরণী চক্রের মাধ্যমে আউট সোর্সিং প্রশিক্ষন গ্রহণ করে আউট সোর্সিং শুরু করেছেন। এখন প্রতিমাসে ১৫ হাজার ডলার আয় করেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তায় বিভিন্ন সংস্থা এগিয়ে আসছে