ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২০ জুন, ২০২৪ | ১:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরো খবর
অর্থনীতি পরিকল্পনা ও কদম আলি: মোঃ আলীমুজ্জামান
২০ জুন, ২০২৪ | ১:১৫ পিএম
![অর্থনীতি পরিকল্পনা ও কদম আলি: মোঃ আলীমুজ্জামান](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/06/20/20240620131614_original_webp.webp)
কদম আলি বলল, দেশের স্থায়ী পরিকল্পনা ও দীর্ঘ মেয়াদি রাজস্ব কাঠামোর ব্যবস্থাপনা করা ছাড়া যত পরিকল্পনা কর না কেন বিদেশি বিনিয়োগ ও দেশজ শিল্পের বিনিয়োগ সুরক্ষা দেওয়া যাবে না বিধায় যত দিন যাবে তত বিনিয়োগ কমতে থাকবে বলে মনে হয়।
বললাম, আংশিক সঠিক, উন্নয়নশীল দেশে স্থায়ী রাজস্ব কাঠামো তৈরি করা যায় না, তবে উন্নয়ন পরিকল্পনা স্থায়ী হওয়া উচিত। আমাদের দেশের মূল সমস্যা অবকাঠামো উন্নয়ন ও অন্যান্য পরিষেবা উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সমন্বয় হীনতা। উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশ হতে প্রথমে স্থায়ী অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। পরিষেবা সমূহের উন্নয়ন, প্রয়োজনীয়তার ধারাবাহিক অনুসারে বাস্তবায়ন করা উচিত।
ও বলল, দেশের উন্নয়ন ও কনসালটেন্সি পেশার মধ্যে পার্থক্য নাই। কোন কেস হাতে পেলে সেটা উত্তরিধিকার হিসাবে সন্তানকে আইন পড়াও আর উন্নয়ন কনট্রাক্টরগণ একই রাস্তা কাটে আবার ঠিক করে, এভাবে জেনারেশন টু জেনারেশন চলতে থাকে। পৃথিবীর আর কোন দেশে এমন কাসালটেন্ট ও কন্ট্রাক্টর খুঁজে পাওয়া ভার। সে কারণে বিদেশি বিনিয়োগ ও পেশার উন্নতি হচ্ছে না। দুই কন উন্নতির জন্য দীর্ঘ মেয়াদি মহা পরিকল্পনা করা উচিত।
বললাম, সমস্যার মূল, নাকি অন্য কিছু, সেটা গুগলে থাকার কথা না। সবার আগে দরকার দেশের সকল স্তরের জনগণের মানসিকতার পরিবর্তন। বিশেষ করে সরকার পরিচালনার সাথে সম্পর্কযুক্ত মানুষগুলোর।
ও বলল, তোমাদের ঐ সকল মানুষগুলোর বহু তথ্য কিন্তু গুগলে পাওয়া যায়। সে সব কথা বললে তুমি আমাকে বাদ দিয়ে দিতে পার। তারা পরিকল্পনা করবে দেশের লাভের জন্য? সেটা কল্পনা করা আর তোমার কানাডায় বাড়ি ক্রয়ের চিন্তা করা সমান।
বললাম, সম্পূর্ণ না হলেও আংশিক সত্য, তবে দেশের ভালো চাওয়া মানুষের সংখা কিন্তু কম নাই। ব্যবসায়ীর কথা ভাব শত কষ্ট ও হয়রানি সহ্য করে দেশকে এগিয়ে নিতে চায়। ব্যবসায়ীর সংজ্ঞায় যারা পরে।
ও বলল, এভাবে চলতে থাকলে তারাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। যে পরিমাণ হয়রানি ও করের বোঝা প্রতি বছর চাপানো হচ্ছে তাতে কোথায় যায় অপেক্ষা কর। তোমাদের স্বাধীনতার ৫৩/৫৪ বছর পার করছো। সে সময়ে থাকা ধনী বা ধোনির জেনারেশন গুলো বর্তমানে দেশে কত টা পরিবার আছে? সে হিসাব করে দেখেছো কখনও? বা তারা আস্তে আস্তে কোথায় হারালো?
বললাম, আসলে তো সে চিন্তা করা হয় নাই, সবাই তো গরিব হয়ে যায় নাই। তবে পারিবারিক বিভাজন তৈরি হয়ে ছোট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। সন্তানেরা বিদেশে পড়া লেখা করার কারণে, হয়তো আর দেশে ফিরতে চায় নাই। তুমি বিদেশে অর্থ চলে যাওয়ার সেটাও একটা কারণ ভাবছো? হতে পারে আবার নাও পারে।
ও বলল, আইনের মার প্যাচ শিখে তোমার উপর প্রয়োগ করলাম। বর্তমানে দেশে যে সমস্ত বড় বড় গ্রুপ অব কোম্পানি আছে, এদের অধিকাংশ ৮০ ও ৯০ দশকের দিকে জন্ম।এখনও পারিবারিক বা বাবসায়ে প্রথম জেনারেশন। যে কয়টা দ্বিতীয় জেনারেশনে গেছে তারা বর্তমানে বহু ভাগে বিভক্ত হয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে।
বললাম, বাহ ভালো বলছ তো, তুমি কী বলতে চাচ্ছো ঋণ খেলাপি বাড়ার এটা একটা কারণ ?
ও বলল, প্রথম জেনেটেশনে সেকেন্ড হোম তৈরি করে গেছেন। কেউ তার পরবর্তী সময়ে সেটা চালানোর জন্য কোন কর্পোরেট কাঠামো তৈরি করে যান নাই। পূর্বের চেয়ে বর্তমানে ব্যবসায়ীক কমপ্লায়েন্স অধিক হওয়ায়, কালচার পরিবর্তনের সাথে মিলাতে পারছে না। ঝামেলা মুক্ত থাকার চেষ্টায়, বিদেশে থাকা সেকেন্ড হোম সম্পদশালী হচ্ছে।
অর্থনীতির পরিকল্পনা স্থায়ী হলে ও কর্পোরেট নীতিমালা থাকলে তাদের সুরক্ষিত রেখে সম্পদ দেশে রাখা যেত। বিভিন্ন দেশে থাকা মানুষগুলো তাদের পৈতৃক ভিটা পর্যন্ত বিক্রি করে চলে যাচ্ছে। সেগুলো নেওয়ার বৈধ পথ না থাকায় যেতে হচ্ছে অবৈধ পথে। এর সাথে নতুন বেগম পাড়া তৈরি করার অর্থও যাচ্ছে অবৈধ পথে যেটার প্রভাব ভয়াবহ প্রভাব পরবে অর্থনীতিতে।
![অর্থনীতি পরিকল্পনা ও কদম আলি: মোঃ আলীমুজ্জামান](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)