ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১০:৪৬:৩৪ এএম

অস্তিত্ব নেই বেক্সিমকোর ৪০ শতাংশ কর্মীর

২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১২:৮ পিএম

অস্তিত্ব নেই বেক্সিমকোর ৪০ শতাংশ কর্মীর

ছবি: সংগ্রহ

বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিক ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা নিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বেক্সিমকোতে দাবি করা ৪০ হাজার শ্রমিকের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশের অস্তিত্ব প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, "অনেকে মিথ্যা তথ্য তৈরি করে উত্তেজনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কাজ করছে।"

 

 

এছাড়া, বেক্সিমকোর একটি হাউজিং প্রকল্পে আইএফআইসি ব্যাংকের মাধ্যমে 'আমার বন্ড' বিক্রি করে তোলা চার হাজার কোটি টাকার ব্যাপারেও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তিনি জানায়, "মাত্র তিন মাস আগে তোলা এই চার হাজার কোটি টাকা কোথায় গেলো? এটা একটি অবাক করা বিষয়, টাকা কোথায়?"

 

 

 

বাণিজ্য উপদেষ্টা আরো জানান, সরকার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক চালু রাখতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা চেষ্টা করেছে, কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি সরকারের সহায়তা নাকচ করে দেয়। তিনি বলেন, "দেশের রপ্তানি আয়ের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল, কিন্তু তারা কোনো সহযোগিতা করেনি। এর পরই সরকার বাধ্য হয়ে প্রশাসক নিয়োগ করে।"

 

 

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, "বেক্সিমকোর ২৩ হাজার কোটি টাকা দায় ছিল, কিন্তু পরে জানা যায় তাদের প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা দায় রয়েছে। এরপরও সরকার চেষ্টা করেছে প্রতিষ্ঠানটি চালু রাখতে।" তিনি আরও যোগ করেন, সরকার প্রতি মাসে ৬০ কোটি টাকা বেতন দেওয়ার চেষ্টা করেছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল।

 

 

মায়ানগরের হাউজিং প্রকল্পের চার হাজার কোটি টাকার বিষয়টি উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, "এটাও একটি প্রশ্নবোধক বিষয়, টাকা কোথায় গেলো?"

 

 

এছাড়া, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা চালানো হলেও আইনগত বাধা সৃষ্টি হয়েছে। শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, "কিছু শ্রমিক নিজেদের আলাদা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সরকার তাদের সহযোগিতার জন্য নিরলস পরিশ্রম করেছে।"

 

 

বেক্সিমকো সংক্রান্ত ফরেনসিক অডিটের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, "চুরি হয়েছে, কিন্তু ঘরই তো নেই, ঘরের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে না।"

 

 

এই ঘটনা গার্মেন্ট শিল্প এবং দেশের শ্রম সমাজের প্রতি অবমাননা হিসেবে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, দেশের শ্রমিকদের নিয়ে করা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অসম্মানিত করা হচ্ছে।

অস্তিত্ব নেই বেক্সিমকোর ৪০ শতাংশ কর্মীর