ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১১:১৩:৪৩ এএম

আগামী বছর লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো সহায়তা ইউক্রেনকে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

১৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০:০ পিএম

আগামী বছর লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো সহায়তা ইউক্রেনকে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগ্রহ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন তাদের শেষ কয়েক মাসে নিশ্চিত করতে চাইছে, ইউক্রেন যেনও আগামী বছরও রাশিয়ার সর্বাত্মক আগ্রাসন প্রতিহত করতে পারে। এই লক্ষ্যে যত বেশি সম্ভব সহায়তা পাঠানো হচ্ছে যাতে ইউক্রেনীয় বাহিনী রুশ সেনাদের প্রতিরোধে সক্ষম থাকে এবং সম্ভাব্য শান্তি আলোচনায় শক্ত অবস্থানে থাকতে পারে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) এসব কথা জানিয়েছেন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

 

ব্লিঙ্কেন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, আগামী ২০ জানুয়ারি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেবেন, তার আগ পর্যন্ত আমাদের হাতে থাকা প্রতিটি ডলার ইউক্রেনের জন্য ব্যয় করা হবে।


ব্রাসেলস সফরের সময় ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, ইউক্রেন যাতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কার্যকরভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে পারে বা শক্তিশালী অবস্থান থেকে শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে পারে, সেজন্য তাদের অর্থ, গোলাবারুদ ও প্রস্তুত সেনাদের জোগান নিশ্চিত করা জরুরি।


ইউক্রেনে সর্বশেষ প্রযুক্তির সরঞ্জাম পাঠিয়ে মার্কিন প্রশাসন তাদের কৌশলে পরিবর্তন ও সামঞ্জস্য আনছে বলে জানান ব্লিঙ্কেন। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তিনি দেননি।

 

তিন বছর ধরে চলমান এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনও লক্ষণই দেখাচ্ছে না। বুধবার রাশিয়া প্রায় ৭৩ দিনের মধ্যে প্রথমবারের মতো কিয়েভে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এ হামলার একদিন আগে পেন্টাগন জানিয়েছে, মস্কোকে সহায়তা করতে পাঠানো উত্তর কোরিয়ার অধিকাংশ সেনা ইউক্রেনীয় বাহিনীকে রাশিয়ার ভূখণ্ড থেকে সরিয়ে দেওয়ার লড়াইয়ে নিয়োজিত।

 


ডনেস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মাসব্যাপী চালানো রুশ আক্রমণ প্রতিহত করতে চাপের মধ্যে রয়েছে কিয়েভ।

 

বাইডেনের বিদায়ের পর ট্রাম্প প্রশাসনের যুদ্ধনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা কিয়েভের জন্য নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সামরিক সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও ট্রাম্প লক্ষাধিক ডলারের সহায়তা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে ইচ্ছুক নন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

 

বুধবার রাশিয়া ইউক্রেনের আটটি অঞ্চলে ছয়টি ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৯০টি ড্রোন দিয়ে আক্রমণ চালায়। ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী জানায়, চারটি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৩৭টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে এবং ৪৭টি ড্রোন বৈদ্যুতিক জ্যামিংয়ের মাধ্যমে থামানো হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি এখনও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

 

এই বিমান হামলার সময় উত্তর কোরিয়ার পাঠানো ১০ হাজারেরও বেশি সেনা রাশিয়ার কুরস্ক সীমান্তে যুদ্ধরত ছিল বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। তিন মাস আগে ইউক্রেনীয় বাহিনীর কুরস্ক আক্রমণ উল্লেখযোগ্য এলাকা দখলে সফল হয়েছে এবং এতে ক্রেমলিনকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে।

 

পেন্টাগনের উপ-মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল জানান, রুশ সেনাবাহিনী উত্তর কোরিয়ার সেনাদেরকে আর্টিলারি, ড্রোন ব্যবহার এবং সাধারণ পদাতিক অপারেশনের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তবে ভাষাগত পার্থক্য এবং সামরিক কৌশলগত চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে পেন্টাগনের ভাষ্য।

 

কিয়েভের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীকে বিতাড়িত করতে কুরস্কে প্রায় ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়া কুরস্কে পাল্টা আক্রমণের জন্য সেনা সমাবেশ করেছে বলে জানিয়েছে ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার থিংক ট্যাংক। তবে এই অভিযানের সময়সীমা এখনও অনিশ্চিত।

আগামী বছর লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো সহায়তা ইউক্রেনকে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র