ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৭ জুন, ২০২৪ | ১০:৫৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরো খবর
আগামী মৌসুমে চাল উৎপাদনে রেকর্ড গড়তে পারে ভারত
৭ জুন, ২০২৪ | ১০:৫৬ এএম

ভারত আগামী শস্য উৎপাদন মৌসুমে (২০২৪-২৫) চাল উৎপাদনে রেকর্ড গড়তে পারে। এ সময় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় উৎপাদন বাড়তে পারে ধারণা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
২০২৪-২৫ উৎপাদন মৌসুমে (জুলাই-জুন) ভারতে ১৩ কোটি ৫৫ লাখ থেকে ১৩ কোটি ৮০ লাখ টন পর্যন্ত চাল উৎপাদন হতে পারে। এর আগে দেশটি ২০২২-২৩ উৎপাদন মৌসুমে চাল উৎপাদনে রেকর্ড গড়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগও আগামী মৌসুমে ভারতে রেকর্ড পরিমাণ চাল উৎপাদনের পূর্বাভাস দিয়েছে। এ সময় দেশটিতে মোট ১৩ কোটি ৮০ লাখ টন চাল উৎপাদন হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) পূর্বাভাস অনুসারে, চলতি বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে চাষাবাদের অনুকূল পরিস্থিতি ‘লা নিনা’ বিরাজ করতে পারে। এটি এল নিনোর বিপরীত অবস্থা। এ আবহাওয়ায় মধ্য ও পূর্ব নিরক্ষীয় প্রশান্ত সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যায়। যার কারণে ভারতীয় উপমহাদেশে বৃষ্টিপাত বাড়ে। আর আইএমডির এ পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতেই ভারত আগামী মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ চাল উৎপাদন করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতীয় উপমহাদেশে তিন বছর পর লা নিনা পরিস্থিতি ফিরে আসছে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আইএমডি। ফলে চলতি বছরের জুন-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হবে, যা ধানসহ অন্যান্য খরিপ শস্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় সাধারণত খরিপ ও রবি মৌসুমে ফসলের আবাদ হয়। খরিপ মৌসুমের চাল মাড়াই করা হয় প্রতি বছরের নভেম্বর নাগাদ। অন্যদিকে রবি শস্য সাধারণত নভেম্বর-ডিসেম্বর পর্যন্ত রোপণ করা হয়। এ মৌসুমের ফসল তোলা হয় এপ্রিল-মে মাস পর্যন্ত। ভারতে মোট উৎপাদিত চালের ৭০ শতাংশই খরিপ মৌসুমে উৎপাদন হয়।
ভারত বিশ্বের বৃহত্তম চাল রফতানিকারক দেশ। সরকারি তথ্যানুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতের মোট জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ছিল ১৫ শতাংশের বেশি। দেশটিতে চালের উৎপাদন বেশি হলে বৈশ্বিক বাজারেও তার প্রভাব পড়বে। অতিরিক্ত সরবরাহের কারণে দরপতনও হতে পারে। এছাড়া ভারতের চাল রফতানিতে চলমান নিষেধাজ্ঞায়ও পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে উচ্চ ফলনের সম্ভাবনায় চালের দাম কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে অতিরিক্ত শুল্ক ধার্য করা সত্ত্বেও সেদ্ধ চাল এখনো আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে আছে। চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত প্লাটস মূল্যায়নের ভিত্তিতে ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চাল প্রতি টন ৫৩১ ডলার বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে একই ধরনের থাই চালের মূল্য ছিল ৬০৬ ডলার।
