ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:৪৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ
আদানির প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি কমেছে এক তৃতীয়াংশ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:৪৪ এএম
ছবি: সংগ্রহ
ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি পাওয়ারের ঝাড়খণ্ডের গড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে গত নভেম্বরে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। ভারতের সরকারি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।
বকেয়া পরিশোধ নিয়ে বিরোধের কারণে আদানি পাওয়ার গত মাসে সরবরাহ কমিয়ে দেয়। ঝাড়খণ্ডের গড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে ১,৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ২৫ বছরের চুক্তি হয়েছিল ২০১৭ সালে, তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে।
বাংলাদেশ সম্প্রতি বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎ সরবরাহের মূল্য পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছে। আদানি পাওয়ারের বিদ্যুতের দাম অন্যান্য সরবরাহকারীদের তুলনায় সর্বোচ্চ।
ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের আঞ্চলিক বিদ্যুৎ কমিটির তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বর মাসে গড্ডা প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে ৪৫০ মিলিয়ন কিলোওয়াট/ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে, যা বার্ষিক হিসেবে ৩২.৮ শতাংশ কম।
এটি মাসিক বিদ্যুৎ আমদানির সবচেয়ে বড় পতন, এবং গত বছরের ডিসেম্বরের পর থেকে সর্বনিম্ন। শীতের মৌসুম শুরু হওয়ায় বিদ্যুতের ব্যবহার কম থাকলেও বার্ষিক চাহিদা বেড়েছে ৫.৬ শতাংশ। আমদানি কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ বেশি জ্বালানি তেলচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে ঝুঁকেছে।
জ্বালানি তেলচালিত বিদ্যুৎ নভেম্বর মাসে ৪৭.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাকৃতিক গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ টানা পাঁচ মাসের পতনের পর নভেম্বর মাসে উৎপাদন বেড়েছে ১০ শতাংশেরও বেশি। কয়লাচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন টানা তৃতীয় মাসের মতো হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহের চ্যালেঞ্জ
গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানির উপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবং চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর আরও নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। দীর্ঘমেয়াদে চুক্তির শর্তাবলি ও বিদ্যুতের মূল্য পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজনীয়তা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে।