ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১০:৩১:৪৭ পিএম

আবারও নির্দেশনা অমান্য, জরিমানার মুখে এবি ব্যাংক

২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ | ২:৩১ পিএম

আবারও নির্দেশনা অমান্য, জরিমানার মুখে এবি ব্যাংক

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার ফলে খেলাপি ঋণের বোঝা ক্রমশ বাড়ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ। এর মধ্যে বেশ কিছু ব্যাংক খেলাপি ঋণ ব্যবস্থাপনায় গাফিলতি ও নীতিমালা লঙ্ঘন করছে, যার ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে জরিমানা ও শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে।

 

 

এমনি এক ঘটনা ঘটেছে এবি ব্যাংকের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা সত্ত্বেও, এবি ব্যাংক আবারও ঋণপত্র (এলসি) খুলেছে এবং এর ফলে ব্যাংকটিকে জরিমানা করা হয়েছে। এর আগে, এবি ব্যাংক প্যাসিফিক মোটরসের খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন রাখার অভিযোগে জরিমানার শিকার হয়েছিল।

 

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, এবি ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে নতুন ঋণ প্রদান বন্ধ থাকার কথা ছিল, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্তে উঠে এসেছে, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত এস. এস. স্টিল লি., সালেহ স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ লি., এবং ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লি.-কে ১,৫২২.২৪ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে, যা নীতিমালার পরিপন্থি। এই ঋণের একটি বড় অংশ অর্থের অপব্যবহার ও স্থানান্তরের মাধ্যমে অন্যভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।

 

 

এবি ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান বলেন, "এস. এস. স্টিল সংক্রান্ত জরিমানার বিষয়ে আমরা জানি, তবে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা পুরনো ফাইল পর্যালোচনা না করে বলা সম্ভব নয়। আমরা বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করেছি।"

 

 

বর্তমানে এবি ব্যাংকের মোট ঋণের পরিমাণ ৩২ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা, যার মধ্যে ১০ হাজার ১১৫ কোটি টাকা অর্থাৎ ৩১ শতাংশই খেলাপি ঋণ। যদি বিশেষ সুবিধার আওতায় থাকা এই ঋণ সুবিধা বাতিল হয়ে যায়, তবে ব্যাংকটি বড় আর্থিক চাপে পড়বে।

 

 

এভাবে চলতে থাকলে, বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সামগ্রিক অবস্থা আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠতে পারে, যা দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

আবারও নির্দেশনা অমান্য, জরিমানার মুখে এবি ব্যাংক