ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৯:১৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ
আমদানি বেড়েছে ৯ পণ্যের
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৯:১৭ এএম

ছবি: সংগ্রহ
আসন্ন রমজান ঘিরে চিনি, সয়াবিন তেল, ডাল, মটর, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও খেজুরে আমদানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত এসব পণ্যের আমদানিতে গড়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৯ শতাংশ। এর মধ্যে ছোলা ও মটর ডালের আমদানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পণ্য আমদানির এই ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি বাজারে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক ও পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে সহায়ক হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ মার্জিনের হার নির্ধারণ ও বিলম্বে আমদানি মূল্য পরিশোধের সুযোগ দেওয়ায় রোজার আগে এসব পণ্যের আমদানি বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, এই চার মাসে চিনি আমদানি হয়েছে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩৪ টন। এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। এ সময়ে সয়াবিন তেল আমদানি ৩৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯৮ হাজার ২৫২ টন। ডাল জাতীয় পণ্যের আমদানি ৪৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৭ টন। ছোলা আমদানি হয়েছে ৯৭ হাজার ৫৫৫ টন, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ শতাংশ বেশি। খেজুরের আমদানি ২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৪২০ টন।
আলোচ্য সময়ে সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ আমদানি বেড়েছে মটর ডালের। এ সময়ে পণ্যটির আমদানি হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৮৪৫ টন। এ বছর দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ার পরও এই চার মাসে পণ্যটির আমদানি ২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ টন। রসুনের আমদানি ২০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬১ হাজার ৩৮১ টন। আদার আমদানি ৫৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫২ হাজার ৫১৫ টন।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর উল্লেখিত ৯টিসহ ১১ ধরনের ভোগ্যপণ্য আমদানিতে বিলম্বে মূল্য পরিশোধের অনুমতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। রমজানের আগে পণ্য মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা ও সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে আমদানির ক্ষেত্রে লেনদেন সহজ করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সুবিধা বহাল থাকবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এর আগে এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ মার্জিনের হার নির্ধারণের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৬ নভেম্বর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে শূন্য মার্জিনেও এসব পণ্যের এলসি করা যাবে। এসব পদক্ষেপের ফলে অত্যাশ্যকীয় পণ্যগুলোর আমদানি বেড়েছে।
