আমেরিকায় যাক ইসরাইল, প্রস্তাব সৌদির

মো সোহাগ : এবার আর অন্য কোন দেশ নয় মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরবের সাথে দ্বন্দ্বে জোড়াচ্ছে ইসরাইল। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে সংস্কার হওয়া সৌদি আরব কে ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে মুসলিম বিশ্বের।

 

ফিলিস্তিনিদের নিজ মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত করার যে কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেনঅ তারা বরং যে ইসরাইলকে নিয়ে এত সমস্যা সেই নেতানিয়াহুর দেশটিকে আমেরিকায় আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি আরব। আর এমন পাল্টাপাল্টি দাবিতে সৌদি আরব ও ইসরাইলের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা। কিছুদিন আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান গাজা দখলে নেওয়ার। ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দিতে মিশর জর্ডানের মতো দেশগুলোকে প্রস্তাব দেন তিনি।

 

এরপর যুক্তরাষ্ট্র সফরে ট্রাম্পের সাথে বৈঠকের পর এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, সৌদি আরবের অনেক জমি রয়েছে ফিলিস্তিনিদের সেখানে আশ্রয় দিয়ে আলাদা প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গড়তে পারে সৌদি আরব। নেতানিয়াহুর এমন দখলদারিত্ব মন্তব্যে ফুসে উঠেছে পুরো মুসলিম বিশ্ব। সৌদি আরব এবং ফিলিস্তিন দুটি রাষ্ট্রই মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর। সৌদিতে ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়ার সমালোচনা করেছেন মুহাম্মদ বিন সালমান। সৌদি আরবের ডি ফ্যাক্টর নেতা বলছেন, ফিলিস্তিনিরা তাদের মাতৃভূমি ছেড়ে কোথাও যাবে না বরং যেকোনো পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের নিজভূমিতে উচ্ছেদের কোন পরিকল্পনা থাকলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সৌদি প্রশাসন।

 

গাজায় জাতিগত নিধন সহ মানবাধিকারের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অপরাধ ঢাকতেই ইসরাইল এখন দৃষ্টি অন্যত্র সরানোর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করছেন দেশটি। ফিলিস্তিনিরা কোন শরণার্থী নয়। যে যখন ইচ্ছা অন্যদের কথা মত বের করে দেওয়া হবে বরং ফিলিস্তিন ভূখন্ডেই তাদের জন্য রাষ্ট্র গড়ে উঠবে। ভ্রাত্তিসম সৌদি ফিলিস্তিন নিয়ে নেতানিয়াহুর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে মিশর, ইরাক, কাতারের মতো দেশগুলো। সৌদি আরব কে নিয়ে এমন বক্তব্য দেশটির সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত বলেই জানাচ্ছে মুসলিম রাষ্ট্রনেতারা। ইসরাইলকে অবশ্য আরো কঠোর জবাব দিয়েছে সৌদি প্রশাসন।

 

যে ইসরাইলকে নিয়ে এত সমস্যা সেই নেতানিয়াহুর দেশটিকেই যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দিতে ট্রাম্পের সাথে আহ্বান জানিয়েছে প্রভাবশালী সূরা কাউন্সিল। মার্কিন অঙ্গরাজ্য আলাস্কায় ইসরাইলকে সরিয়ে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন সৌদি প্রশাসনের প্রভাবশালী সদস্য ইউসুফ বিন ত্রাদাল সাধ। নেতানিয়াহুর এমন মন্তব্যে উসকে দিতে ট্রাম্পেকেই দায় দিচ্ছে সৌদি প্রশাসন। আলোচনা ও বিশেষজ্ঞদের মতামত কে প্রাধান্য না দিয়ে খামখেয়ালী পূর্ণ জ্ঞানহীন মধ্যপ্রাচ্যর নীতির তীব্র  সমালোচনা করেছেন দেশটির গণমাধ্যম গুলো। তবে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইলের কোন প্রলোচনায় কিছু হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশটি।