ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১০:৩৫:৪৮ এএম

আম রপ্তানিতে ধস

১৭ জুলাই, ২০২৪ | ৯:৩০ পিএম

আম রপ্তানিতে ধস

বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের প্রায় ৩৮ দেশে আম রপ্তানি হয়। গত বছর রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ১০০ টন আম। এ বছর রপ্তানি চলমান থাকলেও এখন পর্যন্ত হয়েছে ৮৭৯ টন। গত বছরের এ সময়ে আম রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৮৫৮ টন। অর্থাৎ গত বছরের এ সময়ের তুলনায় এ বছর আম রপ্তানি অর্ধেকের বেশি কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বিমান ভাড়া বৃদ্ধি এবং মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার কারণে জাহাজ ভাড়া বেড়েছে। ফলে আম রপ্তানি কমেছে।

 

বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফভিএপিইএ)-এর উপদেষ্টা কৃষিবিদ মো. মনজুরুল ইসলাম বলেন, রপ্তানি কমার অন্যতম কারণ বিমান ভাড়া বেড়েছে। গত বছর প্রতি কেজি আম ইউরোপে রপ্তানি হয়েছে ৩২০-৩৩০ টাকা করে। এ বছর সে আম পাঠাতেই খরচ পড়ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা করে। বিমানগুলো আকাশপথে পরিবহনে গার্মেন্টস পণ্যকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে সবজি, ফলমূলকে কম সুযোগ দিচ্ছে। ইউরোপের জন্য মাত্র একটি ডেডিকেটেড স্ক্যানিং মেশিন রয়েছে। মাঝেমধ্যে দেখা যায় মেশিন চলে না। তখন রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, দেশে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছিল ২২ লাখ ২৯ টন। রপ্তানি হয় ৩১০ টন। একই সময়ে আম চাষ হয় ১ দশমিক ৮৮ লাখ হেক্টর জমিতে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছিল ২৪ লাখ ৬৮ টন এবং রপ্তানি হয়েছিল ২৮৩ টন। একই সময়ে আম চাষ হয় ১ দশমিক ৮৯ লাখ হেক্টর জমিতে। ২০২০-২১ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছিল ২৫ লাখ টন, রপ্তানি হয়েছিল ৭৯১ টন। একই সময়ে আম চাষ হয় ১ দশমিক ৯৮ লাখ হেক্টর জমিতে। ২০২১-২২ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছিল ২৩ লাখ ৫০ টন, রপ্তানি হয়েছিল ১ হাজার ৭৫৭ টন। একই সময়ে আম চাষ হয় ২ দশমিক ০৮ লাখ হেক্টর জমিতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছিল ২৭ লাখ ৭ টন, রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ১০০ টন। একই সময়ে আম চাষ হয় ২ দশমিক ০৫ লাখ হেক্টর জমিতে। তবে এ বছর গত অর্থবছরের তুলনায় আম উৎপাদন কমেছে।

আম রপ্তানিতে ধস