ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ২:০৭:০১ পিএম

আরাকান এখন বাংলাদেশি ও ভারতীয় পণ্যের ওপর নির্ভরশীল

২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৮:৩০ পিএম

আরাকান এখন বাংলাদেশি ও ভারতীয় পণ্যের ওপর নির্ভরশীল

ছবি: সংগ্রহ

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আরাকান রাজ্য মুক্ত করেছে আরাকান আর্মি। তবে সামরিক অবরোধের কারণে এ অঞ্চলের পণ্য সরবরাহ প্রায় সম্পূর্ণরূপে ভারত ও বাংলাদেশ থেকে চোরাচালানের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। চাহিদা মেটাতে এই পণ্য প্রবাহ জরুরি হলেও তা আসন্ন মানবিক সংকট প্রতিরোধে যথেষ্ট নয় বলে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

চোরাচালান পণ্যের গুরুত্ব

  • ভারত ও বাংলাদেশ থেকে পণ্য সরবরাহ:
    রান্নার তেল, বিস্কুট, সাবান, ডিটারজেন্ট, ময়দা, গার্মেন্টস এবং ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভারত ও বাংলাদেশ থেকে নদী ও স্থলপথে চোরাচালানের মাধ্যমে আসে।
  • জ্বালানি ও ওষুধের ঘাটতি:
    আরাকানে জ্বালানি এবং ওষুধের চরম অভাব। ডিজেল ও পেট্রোলের দাম কয়েক গুণ বেড়েছে, যা পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

স্বাস্থ্যসেবার সংকট

  • স্বাস্থ্যসেবার অবস্থা:
    সামরিক হামলা এবং ওষুধের অভাবে আরাকানের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো কার্যত অচল।
  • মানবিক বিপর্যয়:
    চিকিৎসার অভাবে বেসামরিক লোকজন, বিশেষত আইডিপি (অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত জনগণ), মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন।

অর্থনৈতিক সংকট

  • পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি:
    চাল, লবণ, ও পানীয় জলের দাম ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।
  • ব্যাংকিং ব্যবস্থার অচলাবস্থা:
    জান্তা সরকারের বিধিনিষেধের কারণে কালোবাজার প্রসারিত হয়েছে।

প্রতিবেশী দেশগুলোর ভূমিকা

  • ভারত:
    আরাকানে মিজোরাম সীমান্ত দিয়ে পণ্য প্রবাহ কিছুটা বেশি হলেও সীমান্তে স্থিতিশীলতা অনিশ্চিত।
  • বাংলাদেশ:
    সীমান্ত উত্তেজনা ও নাফ নদীর পরিবহন স্থগিত হওয়ার কারণে পণ্য সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে।

আরাকানের ভবিষ্যৎ

ডিপ্লোম্যাটের প্রতিবেদনে আরাকানে আসন্ন মানবিক সংকট সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। খাদ্য উৎপাদনের হ্রাস, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তার অভাবে এই অঞ্চলের পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে।

আরাকান এখন বাংলাদেশি ও ভারতীয় পণ্যের ওপর নির্ভরশীল