ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:১৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ
আর্থিক অনটনে ঋণ করে রিটার্ন জমা, কমেছে মূল্যস্ফীতি
৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:১৪ এএম
![আর্থিক অনটনে ঋণ করে রিটার্ন জমা, কমেছে মূল্যস্ফীতি](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/08/20241208091446_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
বাংলাদেশের সাধারণ করদাতাদের জীবনযাত্রা এবং তাদের উপর আরোপিত কর ব্যবস্থার মধ্যে বিদ্যমান অসামঞ্জস্যতার প্রতিফলন উপরের আলোচনায় স্পষ্ট। মূল্যস্ফীতির উচ্চমাত্রার প্রভাবে মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাওয়ার পরও করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত রাখার কারণে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির করদাতারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বাজারে উচ্চমূল্যের কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়েছে, কিন্তু তাদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হয়নি।
ড. আব্দুর রাজ্জাক যেমন বলেছেন, করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা করা হলে মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর চাপ কিছুটা কমত।
এনবিআর রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করে রিটার্নদাতার সংখ্যা বাড়িয়েছে, যা প্রশাসনিক সাফল্য হতে পারে। কিন্তু প্রকৃত করদাতাদের সংখ্যা সেই হারে বাড়েনি।
শীর্ষ ১০% মানুষের আয় নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের সম্ভাব্য কর আদায়ের ওপর বেশি জোর দেওয়া প্রয়োজন। বর্তমানে তারা তাদের আয়ের অনুপাতে যথাযথ কর প্রদান করে না।
মূল্যস্ফীতি কমানোর প্রচেষ্টা কাগজে-কলমে কার্যকর হলেও, সাধারণ মানুষের বাস্তবতায় তা সেভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে না। এতে কর নীতি এবং সাধারণ নাগরিকের জীবনযাত্রার মানের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে।
করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধিএটি মধ্যবিত্ত শ্রেণির আর্থিক সুরক্ষায় সহায়তা করবে। ইনফরমাল সেক্টরে কর প্রণোদনা ইনফরমাল সেক্টরকে করের আওতায় আনতে সহায়ক নীতিমালা প্রয়োজন।
কর ব্যবস্থায় প্রগতিশীলতা উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের উপর করের হার বৃদ্ধি করা হতে পারে, যা আয়ের বৈষম্য কমাতে সহায়ক হবে।
জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করের গুরুত্ব সম্পর্কে প্রচার এবং অনলাইন রিটার্ন জমার সুবিধা আরো সহজলভ্য করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে রাজস্ব ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য একদিকে কর নীতিমালায় সময়োপযোগী পরিবর্তন আনা প্রয়োজন, অন্যদিকে জনগণের জীবনমানের উন্নয়নেও সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।
![আর্থিক অনটনে ঋণ করে রিটার্ন জমা, কমেছে মূল্যস্ফীতি](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)