ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৯:৫১:৪১ এএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ২:৫৬ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

ইইউভুক্ত দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুমকি কাতারের

২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ২:৫৬ পিএম

ইইউভুক্ত দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুমকি কাতারের

ছবি: সংগ্রহ

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নতুন কঠোর শ্রম আইন কার্যকর হলে কাতার তাদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে বলে হুমকি দিয়েছেন দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী সাদ আল কাবি। গতকাল  রোববার  ‘দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 


ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্প্রতি ‘কর্পোরেট সাসটেইনেবিলিটি ডিউ ডিলিজেন্স’ নামে একটি আইন পাস করেছে। এই আইন অনুযায়ী, ইইউর সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে কর্মরত কোনো প্রতিষ্ঠানে শ্রম আইন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে তাদের বার্ষিক লাভের ৫ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।

 

 

কাতার প্রশাসনের মতে, এই আইন তাদের ওপর বড় ধরনের অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করবে। কাতারের জ্বালানিমন্ত্রী সাদ আল কাবি বলেন, “ইউরোপে গিয়ে অর্জিত রাজস্বের ৫ শতাংশ হারানোর অর্থ কাতার রাষ্ট্রের রাজস্বের ৫ শতাংশ হারানো। এটি জনগণের অর্থ, যা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না।”

 


সাদ আল কাবি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ইইউ যদি এই আইন পর্যালোচনা না করে, তবে আমরা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করব। এটি কোনো হুমকি নয়, বাস্তবতা। আমরা কোনো এমন চুক্তি মেনে নেব না, যা আমাদের অর্থনৈতিক স্বার্থের বিপরীত।”

 

তিনি আরও বলেন, “কাতারএনার্জির অর্জিত রাজস্ব কাতার রাষ্ট্রের রাজস্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইইউয়ের উচিত আইনটি পুনর্বিবেচনা করা এবং এর প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা।”

 


সাক্ষাৎকারে সাদ আল কাবি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানির সীমা তুলে দেওয়ার ঘোষণা নিয়ে কাতার চিন্তিত নয়। কাতার এশিয়া ও ইউরোপে এলএনজি খাতে নিজেদের ভূমিকা আরও শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছে।

 


বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এলএনজি রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম কাতার। তারা ২০২৭ সালের মধ্যে তরলীকরণ ক্ষমতা ৭৭ মিলিয়ন টন থেকে ১৪২ মিলিয়ন টনে উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছে।

 


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাতারের এ ধরনের হুমকি ইউরোপীয় জ্বালানি বাজারে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। ইউরোপের গ্যাস সরবরাহে কাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষত শীতকালীন মৌসুমে এ অঞ্চলে এলএনজির চাহিদা অনেক বেড়ে যায়।

 


কাতারের এই হুমকি ইইউর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ইউরোপীয় ইউনিয়নকে হয়তো তাদের আইন পর্যালোচনা করতে হবে অথবা কাতারের সঙ্গে মধ্যস্থতার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে। অন্যথায়, ইউরোপের জ্বালানি সরবরাহ সংকটে পড়তে পারে, যা বিশ্বব্যাপী এলএনজি বাজারেও প্রভাব ফেলবে।

ইইউভুক্ত দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুমকি কাতারের