ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১১:০৭:৪৬ এএম

ই-কমার্স খাতের নিয়ন্ত্রণে সেই পুরনো চক্র

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৯:২৬ এএম

ই-কমার্স খাতের নিয়ন্ত্রণে সেই পুরনো চক্র

ছবি: সংগ্রহ

ডিজিটাল কমার্স খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রশাসক মুহাম্মদ সাইদ আলীর কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ ও সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে সংগঠনটির কর্মীদের মধ্যে। ই-ক্যাবের সেক্রেটারিয়েটের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম শোভনকে স্বপদে বহাল রাখার বিষয়ে প্রশাসক একের পর এক পদক্ষেপ নেয়ার কারণে বিষয়টি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

 

 

ই-ক্যাবের সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন, যেখানে তিনি প্রশাসক সাঈদ আলী ও নির্বাহী পরিচালক শোভনকে অপসারণের দাবি জানিয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রশাসক ও শোভন ই-ক্যাবের গত কয়েক বছরের দুর্নীতি ও অনিয়মের ধারাবাহিকতা রক্ষার মাধ্যমে সংগঠনটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন।

 

 

মো. সাইফুল ইসলামের অভিযোগ অনুযায়ী, প্রশাসক সাঈদ আলী ও শোভন একাধিক অপকৌশলের মাধ্যমে ই-ক্যাবের কার্যক্রমকে অকার্যকর ও দুর্নীতিগ্রস্ত করে ফেলেছেন। তিনি আরও দাবি করেন, প্রশাসক নিজের পক্ষের সদস্যদের সহায়ক কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করে ই-ক্যাবের সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করছেন।

 

 

গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ই-ক্যাবের সাবেক সভাপতি শমী কায়সার পদত্যাগ করেন, এবং এর পরেই সংগঠনের পরিচালনা পরিষদও পদত্যাগ করে। পরে, ১০ সেপ্টেম্বর, ই-ক্যাবের প্রশাসক হিসেবে মুহাম্মদ সাইদ আলীকে নিয়োগ দেয়া হয়। প্রশাসক সাইদ আলী গত ২০ নভেম্বর একটি সহায়ক কমিটি গঠন করেন, তবে ৯ ডিসেম্বরের সভায় নির্বাহী পরিচালক শোভনকে অপসারণের দাবি জানানো হলেও তা অগ্রাহ্য করেন তিনি। এর পর, ১৪ জানুয়ারি, প্রশাসক পুনর্গঠিত সহায়ক কমিটি গঠন করেন, যা নিয়ে আরও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

 

 

অভিযোগকারী সাইফুল ইসলামের মতে, প্রশাসক ও শোভন এমন একটি সিন্ডিকেটের অংশ হিসেবে কাজ করছেন, যা ই-ক্যাবের কার্যক্রমে বিরাট ক্ষতি সাধন করছে। তিনি বলেন, "এরা অনিয়মের মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে এবং ই-ক্যাবের কার্যক্রমকে বিপথে পরিচালিত করছে।"

 

 

এদিকে, ই-ক্যাবের সহায়ক কমিটির এক সদস্য জানায়, প্রশাসক নিজে প্রকাশ্যে বলেছেন যে, তিনি কমিটি বড় করছেন শুধুমাত্র সদস্যদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য। কমিটির বেশ কিছু সদস্য এমন ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যারা ই-ক্যাবের কার্যক্রমের সাথে পরিচিত নন এবং তাদের অধিকাংশের আগের কোনো অভিজ্ঞতা নেই।

 

 

ই-ক্যাবের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সদস্যদের মধ্যে উত্তেজনা ও ক্ষোভের পরিবেশ বিরাজ করছে, এবং তারা সুষ্ঠু নির্বাচন ও ই-ক্যাবের স্বচ্ছতা বজায় রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন।

ই-কমার্স খাতের নিয়ন্ত্রণে সেই পুরনো চক্র