ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৪:০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে কমেছে মাছ-মাংস খাওয়া
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৪:০ পিএম

ছবি: সংগ্রহ
উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে গ্রামীণ এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্যাভ্যাসে বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। দাম বাড়ায় মাছ-মাংসের মতো প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার কমিয়ে, শর্করাজাতীয় খাবার ভাতের পরিমাণ বাড়িয়েছেন তারা। একইসঙ্গে কম দামের মাছ যেমন তেলাপিয়া ও পাঙাশের চাহিদা বেড়েছে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)-এর সাম্প্রতিক এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর প্রান্তিকে ৬৪ জেলার ৩ হাজার ৮৮৭টি পরিবারের ওপর পরিচালিত এই জরিপে দেখা গেছে, ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ২০২৩ সালে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১৫ শতাংশের বেশি।
মাথাপিছু দৈনিক ভাত গ্রহণ বেড়েছে ৩৪৯ গ্রাম থেকে ৩৯৪ গ্রামে। মাথাপিছু দৈনিক গরুর মাংস খাওয়ার পরিমাণ কমেছে ১০ গ্রাম থেকে ৪ গ্রামে। ফল খাওয়ার পরিমাণ ৯১ গ্রাম থেকে নেমে এসেছে ২৬ গ্রামে। তুলনামূলকভাবে কম দামের তেলাপিয়া ও পাঙাশের চাহিদা বেড়েছে।
নিম্ন আয়ের মানুষ মাছ-মাংসের মতো পুষ্টিকর খাবার কম খেলেও উচ্চ আয়ের মানুষের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ঘটেনি। তারা রুই-কাতলা মাছ ও ফলমূল বেশি খাচ্ছেন। গড়ে নিম্ন আয়ের মানুষ দৈনিক ৫ গ্রাম মাছ খাচ্ছেন, যেখানে উচ্চ আয়ের মানুষ খাচ্ছেন ১০ গ্রাম।
বিআইডিএসের গবেষক রিজওয়ানা ইসলাম বলেন, “খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ কমিয়ে দিয়েছেন। অপেক্ষাকৃত সস্তা খাবারের দিকে ঝুঁকেছেন তারা। এ পরিবর্তন পুষ্টিহীনতার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।”
এই জরিপ থেকে বোঝা যায়, খাদ্য মূল্যস্ফীতি শুধু মানুষের ক্রয়ক্ষমতা নয়, তাদের পুষ্টি গ্রহণেও দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
- ট্যাগ সমূহঃ
- খাদ্য
- মূল্যস্ফীতি
