শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষে জাতির প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এক বাণীতে শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

আরও পড়ুন

মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া

বাণীতে ড. ইউনূস বলেন, "শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রান্তে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পরিকল্পিতভাবে বাঙালির মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে। তাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করা।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের প্রাক্কালে দেশের শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, এবং রাজনৈতিক চিন্তাবিদদের হত্যা করা হয়। শহীদদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, মুনীর চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, শহীদুল্লাহ কায়সার, ডা. ফজলে রাব্বি, সিরাজউদ্দীন হোসেন, সেলিনা পারভীন এবং ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে স্বাধীনতাবিরোধীরা পরিকল্পিতভাবে এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়। বাঙালি জাতির মেধাবী সন্তানদের হত্যা করে তারা দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল।”

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, "দেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের সবাইকে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির যেকোনো চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করাই হবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।"

প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে উন্নত, সমৃদ্ধ এবং সুশাসিত বাংলাদেশ গঠনে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।”

ড. ইউনূস শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে বলেন, তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে জাতি হিসেবে আমাদের সম্মিলিতভাবে উন্নত বাংলাদেশের জন্য কাজ করতে হবে।