ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
উন্নয়নে ৫ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:০ পিএম
![উন্নয়নে ৫ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/23/20241223153708_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বজায় রাখতে আর্থিক খাতের নীতিগুলো শক্তিশালীকরণ এবং জলবায়ু সহিষ্ণু উন্নয়নে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশ্বব্যাংক। রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশের নগরের অবকাঠামো উন্নয়নে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার সমান ১২০ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। রেজিলেন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ঋণচুক্তি হয়। রোববার অনুষ্ঠিত ওই চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব ফরিদ আজিজ এবং বিশ্বব্যাংকের সহযোগী সংস্থা আইডিএর পক্ষে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘রিজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেবে আইডিএ। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) এটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা ধরা হয়েছে আগামী ২০৩০ সালের জুন পর্যন্ত। পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমসহ মৌলিক নগর পরিষেবাগুলো পরিবৃদ্ধি করা এ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য।
এসময় আরও জানানো হয়, প্রকল্পের ৪০ কোটি ডলারের ঋণের মধ্যে ৩০ কোটি ডলার সমপরিমাণ এসডিআর ২২ কোটি ৭৭ লাখ ডলার স্পেশাল প্রডিং রাইটস হিসেবে দেওয়া হবে। এটি শর্টার ম্যাচুরিটি লোন (এসএমএল)। ছয় বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ (রেয়াত কাল) ১২ বছরে পরিশোধযোগ্য এবং অনুত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ কমিটমেন্ট ফি দিতে হবে। অবশিষ্ট ১০ কোটি ডলার স্কেলআপ উইন্ডো থেকে গ্রহণ করা হবে। যা শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ এবং অনুত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক কমিটমেন্ট ফি শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ দিতে হবে। এই ঋণ ৪ (চার) বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে।
ইআরডি জানায়, প্রকল্পের আওতায় নগরগুলোর সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আর্থিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং নিজস্ব উৎস থেকে আয় বৃদ্ধির কার্যক্রম জোরদার করা হবে। এ ছাড়া পরিকল্পনা প্রণয়ন, অর্থায়ন, বাস্তবায়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম কার্যকর ও টেকসইভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জলবায়ু সহিষ্ণু উন্নত নগর অবকাঠামো ও সুবিধাদি নির্মিত হবে এবং এর ফলে ৮১টি পৌরসভা ও ৬টি সিটি করপোরেশনে বসবাসরত ১ কোটি ৭০ লাখ জনগণ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে।
![উন্নয়নে ৫ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)