ঢাকা শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫ - ১০:২২:২৪ এএম

উৎপাদন বন্ধ হলো সামিট পাওয়ারের পাঁচ বিদ্যুৎকেন্দ্রের

১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৩:৪০ পিএম

উৎপাদন বন্ধ হলো সামিট পাওয়ারের পাঁচ বিদ্যুৎকেন্দ্রের

ছবি: সংগ্রহ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সামিট পাওয়ার লিমিটেডের আরও দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র—জাঙ্গালিয়া (গ্যাসভিত্তিক, ৩৩ মেগাওয়াট) এবং মদনগঞ্জ (এইচএফও-ভিত্তিক, ১০২ মেগাওয়াট)—উৎপাদন বন্ধ হয়েছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির মোট পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

ডিএসইর তথ্যানুসারে, গ্যাসস্বল্পতা, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চাহিদা না পাওয়ার কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন বন্ধ হয়েছে। বন্ধ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে চারটি গ্যাসভিত্তিক এবং একটি এইচএফও-ভিত্তিক।

 

জাঙ্গালিয়া (গ্যাসভিত্তিক, ৩৩ মেগাওয়াট): চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২৪ জুন। বিপিডিবি কেন্দ্রটির উৎপাদন পুনরায় শুরু বা চুক্তি নবায়নের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

 

মদনগঞ্জ (এইচএফও-ভিত্তিক, ১০২ মেগাওয়াট): চুক্তি শেষ হয় চলতি বছরের ২২ মার্চ। নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট ভিত্তিতে এটি ১ মে থেকে চালু ছিল। তবে আগস্টের মাঝামাঝি থেকে বিপিডিবি চাহিদা পাঠানো বন্ধ করায় এটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

 

আশুলিয়া (গ্যাসভিত্তিক, ১১ মেগাওয়াট): চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের ৩১ আগস্ট। নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট ভিত্তিতে চুক্তি নবায়ন করা হলেও গ্যাসস্বল্পতার কারণে কেন্দ্রটি চালু করা যায়নি।

 

মাধবদী (ইউনিট-১) (গ্যাসভিত্তিক, ১১ মেগাওয়াট): চুক্তির মেয়াদ ৩১ আগস্ট শেষ হয়েছে এবং একই কারণে এটি বন্ধ রয়েছে।

চান্দিনা (ইউনিট-১) (গ্যাসভিত্তিক, ১১ মেগাওয়াট): চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এটি চালু করা সম্ভব হয়নি।

 

আশুলিয়া, মাধবদী ও চান্দিনা কেন্দ্রগুলোর চুক্তির মেয়াদ ৩১ আগস্ট ২০২৩-এ শেষ হয়। পরবর্তীতে ২০২৮ সালের ২১ নভেম্বর পর্যন্ত নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট ভিত্তিতে চুক্তি নবায়ন করা হলেও গ্যাসস্বল্পতার কারণে কেন্দ্রগুলো চালু রাখা সম্ভব হয়নি।

 

কোম্পানির ১৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে ৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানি সচিব স্বপন কুমার পাল।

 

সামিট পাওয়ার লিমিটেড বর্তমানে গ্যাস সরবরাহ সংকট এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে উৎপাদন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতি কোম্পানির বিদ্যুৎ উৎপাদন ও আয়কে বড় ধরনের প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

উৎপাদন বন্ধ হলো সামিট পাওয়ারের পাঁচ বিদ্যুৎকেন্দ্রের