ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৭:০২:৩১ এএম

ঋণ পরিশোধ অব্যাহত থাকলেও বাড়ছে আদানির হুমকি

৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ৪:১৫ পিএম

ঋণ পরিশোধ অব্যাহত থাকলেও বাড়ছে আদানির হুমকি

ছবি: সংগ্রহীত

বাংলাদেশ সরকার, জুলাই মাসে আদানি পাওয়ারকে ৩৫ মিলিয়ন, সেপ্টেম্বর মাসে ৬৮ মিলিয়ন এবং অক্টোবরে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার পরও, আদানি বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। তবে, এর পরিমাণও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং আদানি গ্রুপ বাংলাদেশ সরকারকে ১৭০ মিলিয়ন ডলার ক্রেডিট চিঠি ইস্যু করেছে। কিন্তু, এই সত্ত্বেও তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে, যা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংকটকে আরও তীব্র করতে পারে।

 

 

আদানি, কয়লার দাম অতিরিক্ত ধরে এই হুমকি দিচ্ছে যখন বাংলাদেশে কয়লাচালিত প্ল্যান্টগুলো অর্ধেক ক্ষমতায় চলছে এবং ডলার সঙ্কটের কারণে পর্যাপ্ত কয়লা আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি, শ্রীলঙ্কায় আদানি একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যেখানে নতুন সরকার বিদ্যুৎ চুক্তির পুনর্বিবেচনার কথাও বলেছে। অথচ বাংলাদেশে আদানি ১২ টাকা ইউনিট দরে বিদ্যুৎ বিক্রি করছে, যা দেশীয় উৎপাদন মূল্য থেকে অনেক বেশি। তবে, আদানি সরকারের সাথে করা চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে আগ্রহী নয়।

 

 

বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, তারা সময়মতো আদানিকে অর্থ প্রদান করবেন এবং বকেয়া পরিশোধের সংকট সমাধানে আত্মবিশ্বাসী। তবে, তারা আদানিকে ব্ল্যাকমেইল করতে দেবেন না, বলছেন অন্তর্বর্তী সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা ফয়জুল কবির খান।

 

 

আদানি বিদ্যুৎ সরবরাহ কমানোর সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, কারণ দেশটির অনেক এলাকা বিদ্যুৎ ঘাটতির সমস্যায় ভুগছে। ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বকেয়া পরিশোধের কারণে, বাংলাদেশ এখন আরো বিদ্যুৎ প্রদান নিশ্চিত করতে আদানি গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করছে।

 

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খোলার কথা ছিল, তবে তা হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে, গত ৩১ অক্টোবর আদানি গ্রুপ তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে, যার ফলে বাংলাদেশে লোডশেডিং পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

 

 

বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় কিছু গ্যাস-চালিত ও তেল-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুনরায় চালু করছে, এবং শীতকালে গ্রিডে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাওয়ার আশা রয়েছে। ডিসেম্বরে, বাংলাদেশ প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালুর পরিকল্পনা করছে, যা রুশ সহায়তায় নির্মিত।

ঋণ পরিশোধ অব্যাহত থাকলেও বাড়ছে আদানির হুমকি