ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:১৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ
এক বছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ২১ শতাংশ
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:১৫ এএম
![এক বছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ২১ শতাংশ](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/17/20241217091538_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ বছরে সন্দেহজনক লেনদেনের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) জানিয়েছে, গত এক বছরে দেশে ১৭ হাজার ৪৯টি সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করা হয়েছে। অথচ এক বছর আগেও এই সংখ্যা ছিল ১৪ হাজারের ঘরে। এর অর্থ, এক বছরের ব্যবধানে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে প্রায় ২১ শতাংশ।
আরও পড়ুন
বিএফআইইউ অর্থপাচার রোধে দেশের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। ব্যাংকগুলো যে লেনদেনগুলোকে সন্দেহজনক মনে করে, সেগুলো 'সন্দেহজনক লেনদেন প্রতিবেদন' হিসেবে বিএফআইইউতে পাঠায়। সাধারণত যে লেনদেনগুলো সন্দেহজনক বিবেচিত হয় তার মধ্যে রয়েছে।
ছোট গ্রাহকের হিসাবে বড় লেনদেন বড় অঙ্কের নগদ উত্তোলন ছোট ব্যবসায়ীর নামে বড় ঋণ অপরিচিত বা সম্পর্কহীন হিসাবে অর্থ স্থানান্তর। ব্যাংক হিসাব জব্দ ও অর্থপাচার প্রতিরোধ
বিএফআইইউ সূত্রে জানা গেছে, গত আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা, এনবিআর ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যৌথ অভিযানে ৩৪৩ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টে মোট ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।
এদিকে সন্দেহজনক লেনদেন ও অর্থপাচারের বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রমও জোরদার করা হয়েছে। বিএফআইইউ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ২২৫টি তদন্ত রিপোর্ট সিআইডি ও দুদকে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২০টি অডিট রিপোর্ট সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি রিপোর্টগুলোও দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রস্তুত করা হবে।
বিএফআইইউ আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা জোট এগমন্ট গ্রুপের সদস্য হওয়ায় ১৭৭টি দেশের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করে। একইসঙ্গে একাধিক দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে কাজ চলছে। বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সম্ভাব্য সব দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
গত ১৪ ডিসেম্বর সরকারের পক্ষ থেকে ১০ কোম্পানির পাচার করা অর্থ ফেরত আনার জন্য বিএফআইইউ, সিআইডি ও এনবিআর-এর সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমের নেতৃত্বে রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের আইনি সহায়তা দেবে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস। টিমের কার্যক্রম বিএফআইইউ বা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পরিচালিত হবে।
সরকারের এই সমন্বিত উদ্যোগে অর্থপাচার রোধে তৎপরতা আরও জোরদার হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সন্দেহজনক লেনদেনের সংখ্যা বৃদ্ধি উদ্বেগজনক হলেও এর বিরুদ্ধে গৃহীত কঠোর পদক্ষেপ ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
![এক বছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ২১ শতাংশ](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)