ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৩৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ
এবার ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠালো ইসরায়েল
১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৩৬ এএম
![এবার ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠালো ইসরায়েল](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2025/02/01/20250201093646_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের জন্য প্রায় ৯০টি ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েল থেকে পোল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে এগুলো ইউক্রেনে পাঠানো হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন অ্যাক্সিওস পোর্টাল এ খবর জানিয়েছে।
২০২৪ সালে তেল আবিবের কাছে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো চেয়েছিল কিয়েভ। মস্কো সে সময় ইসরায়েলকে এর সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছিল।
চলতি সপ্তাহে অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মার্কিন বিমান বাহিনীর বেশ কয়েকটি সি-১৭ পরিবহন বিমানে করে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দক্ষিণ ইসরায়েলের একটি বিমানঘাঁটি থেকে পোল্যান্ডের রেজেসজো শহরে নেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, ইসরায়েল মস্কোকে এই পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে। তারা বলেছে, অস্ত্রগুলো ইউক্রেন সরবরাহ নয়, সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পেন্টাগন এবং মার্কিন ইউরোপীয় কমান্ড উভয়ই অ্যাক্সিওসকে এই ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য দিতে রাজি হয়নি। রাশিয়াও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।
অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির ফোন ধরতে রাজি হননি। তবে সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে পরিস্থিতি বদলে যায়।
একজন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে বলেছেন, হাসিডিক ইহুদি তীর্থযাত্রীদের কিয়েভের দক্ষিণে একটি শহর উমানে যাওয়ার জন্য জেলেনস্কির অনুমতি প্রয়োজন হয়। যেখানে এই ইহুদি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ব্রাটস্লাভের রেব নাচম্যানের সমাধি রয়েছে। নেতানিয়াহু প্যাট্রিয়ট স্থানান্তর অনুমোদন না করা পর্যন্ত জেলেনস্কি সেখানে ইহুদি তীর্থযাত্রীদের যেতে দিচ্ছিলেন না।
নেতানিয়াহুর একজন মুখপাত্র অ্যাক্সিওসকে বলেছেন, একটি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি ইউক্রেনকে সরবরাহ করা হয়েছিল কি না তা আমাদের জানা নেই।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত বেড়ে যাওয়ার পর থেকে কিয়েভে এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ ইসরায়েলের 'সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ' অবদান। ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে মস্কোর প্রতিশোধের আশঙ্কা থেকে বা ইরানকে অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহের ভয়ে কিয়েভকে শুধু মানবিক সহায়তা দেওয়ার ওপর জোর দিয়ে আসছে।
জাতিসংঘে রাশিয়ার দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া গত বছরের জুলাইয়ে ইসরায়েলকে 'কিয়েভে অস্ত্র পাঠানোর পরিণতি' নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। তিনি এও উল্লেখ করেন, ইউক্রেনে পাঠানো যে কোনো অস্ত্র শেষ পর্যন্ত ধ্বংস হয়ে যাবে।
গত ডিসেম্বরে হায়াত তাহরির আল-শামের অভিযানে দামেস্কে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর দেশটিতে সামরিক উপস্থিতি কমিয়ে আনে মস্কো। ইসরায়েল এই অভ্যুত্থানকে কাজে লাগিয়ে সিরিয়ার বেশিরভাগ সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করে এবং গোলান মালভূমির অতিরিক্ত অঞ্চল দখল করে নেয়। এরপর চলতি মাসের শুরুর দিকে ইরানের সঙ্গে 'কৌশলগত অংশীদারিত্ব' চুক্তি সই করে রাশিয়া।
![এবার ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠালো ইসরায়েল](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)