ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১১:৫০:৪২ এএম

এবার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে পেঁয়াজ

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:২৮ এএম

এবার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে পেঁয়াজ

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাথে ট্রানজিট ও ইমিগ্রেশন সুবিধা থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে ও পর্যটনে বিপুল সম্ভাবনা তৈরি করেছে স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা। বন্দরটিতে বেশিরভাগ পাথর আমদানি হলেও দিনদিন বাড়ছে অন্যান্য পণ্য আমদানি। এবার বন্দরটি দিয়ে বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ।

 

তিনি বলেন, আমাদের চারদেশীয় স্থলবন্দরটি ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরটিতে পাথর আমদানির পাশাপাশি এখন পেঁয়াজ ও আতপ চাল আমদানি করা হচ্ছে। গত ১০ ডিসেম্বর ভারত থেকে এ বন্দর দিয়ে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে মেসার্স বিসমিল্লাহ বাণিজ্যালয় নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। এর আগে এ প্রতিষ্ঠানটি ৫ দফায় ১৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে একই প্রতিষ্ঠান।

 

বর্তমানে বন্দর দিয়ে আমদানি করা পণ্যগুলোর মধ্যে প্রায় ৯৮ শতাংশই পাথর। এ ছাড়া মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিকদানা, রেললাইনের স্লিপার, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়। অপরদিকে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়নের মধ্যেও ভারত থেকে চাল ও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। স্বাভাবিক রয়েছে স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

 

 

নেপালের সঙ্গে এক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে এ বন্দর দিয়ে প্রথম আমদানি-রপ্তানি শুরু হয় ১৯৯৭ সালে। ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে ও ২০১৭ সালে ভুটানের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়।

 

বন্দরের কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বন্দরটিতে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল থাকায় আয় হচ্ছে রাজস্ব। গেল অর্থবছরে (২০২৩-২৪) বন্দরটি দিয়ে ৭৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আয় হয়েছে ২০ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

 

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ সদস্য আব্দুল্লাহ আল মুসা ও বিসমিল্লাহ বাণিজ্যলয়ের পাবেল বলছেন, আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছি। তবে নিয়মিত নয়, মাঝে মাঝে আমদানি করা হচ্ছে। আমাদের স্থলবন্দরটি চারদেশীয় হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে অপার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

 

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক রেজাউল করিম শাহিন বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরটি দিয়ে পাথরের পাশাপাশি চাল ও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এ পোর্ট দিয়ে যাতে আরো কিছু আমদানি করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলছি ও উদ্বুদ্ধ করছি।

এবার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে পেঁয়াজ