ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১:২৬:৩৬ পিএম

এলাচের কেজি সাড়ে চার হাজার

১৪ জুন, ২০২৪ | ৯:১৮ এএম

এলাচের কেজি সাড়ে চার হাজার

নাকের ডগায় কুরবানির ঈদ। আগামী সোমবারের কুরবানি ঈদের জন্য অনেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন গরু, ছাগল কিংবা খাসি কেনার জন্য। নাকের ডগায় কুরবানির ঈদ। আগামী সোমবারের কুরবানি ঈদের জন্য অনেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন গরু, ছাগল কিংবা খাসি কেনার জন্য।নাকের ডগায় কুরবানির ঈদ। আগামী সোমবারের কুরবানি ঈদের জন্য অনেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন গরু, ছাগল কিংবা খাসি কেনার জন্য।নাকের ডগায় কুরবানির ঈদ। আগামী সোমবারের কুরবানি ঈদের জন্য অনেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন গরু, ছাগল কিংবা খাসি কেনার জন্য।নাকের ডগায় কুরবানির ঈদ। আগামী সোমবারের কুরবানি ঈদের জন্য অনেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন গরু, ছাগল কিংবা খাসি কেনার জন্য।নাকের ডগায় কুরবানির ঈদ। আগামী সোমবারের কুরবানি ঈদের জন্য অনেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন গরু, ছাগল কিংবা খাসি কেনার জন্য। আর গৃহিণীদের চিন্তা কুরবানির অন্যতম অনুষঙ্গ মসলা নিয়ে। এ ছাড়াও পেঁয়াজ, রসুন, আদা নিয়ে গৃহকর্তাদের তাগিদ দিচ্ছেন তারা।

 

প্রতি মাসে মসলা কিনতে না হলেও কুরবানির সময় মসলা কেনা জরুরি হয়ে পড়ে। কারণ কুরবানির মাংস রান্নার জন্য অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় মসলা বেশি প্রয়োজন হয়। এ ছাড়াও সেমাই, ফিরনি রান্নাতেও কিছু মসলা লাগে। এর মধ্যে রয়েছে এলাচ, লবঙ্গ, কিশমিশ, পেস্তা বাদাম, দারচিনি ইত্যাদি। আবার কুরবানির মাংস রান্নার জন্য কিংবা জাল দিয়ে রাখার জন্যও পেঁয়াজ, রসুন, আদা, গুঁড়ামরিচ, গোলমরিচ, ধনিয়া গুঁড়া প্রাসঙ্গিক হয়ে দাঁড়ায়। তবে কুরবানি সামনে রেখে প্রায় সব মসলারই দাম বেড়েছে বাজারে। ব্যবসায়ীরা অজুহাত দিচ্ছেন আমদানি খরচ বৃদ্ধির।

 

এলাচ দেখতে খুবই ছোট। কিন্তু দামের দিক থেকে এর যেন একটা দাপট আছে। এলাচ আবার অনেক ধরনের। প্রতি কেজি এলাচ এখন বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকায়। তবে ছোট দানার এলাচ আর বড় দানার এলাচের দামের মধ্যে কিছুটা হেরফের রয়েছে।


লবঙ্গ মাংস রান্না থেকে শুরু করে অনেক কাজে ব্যবহার হয়। এ মসলা আয়ুর্বেদিক ওষুধের একটি অন্যতম উপাদান। যেকোনো উৎসবের মজাদার রান্নার জন্য লবঙ্গ যেন এক অন্যতম উপাদান। তাই লবঙ্গ যত ছোট দেখাক না কেন, এর যেমন একটা আলাদা ঝাঁজ আছে, তেমনি দামেও ঝাঁজ রয়েছে। লবঙ্গ এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়। গত বছরের তুলনায় এবার লবঙ্গের দাম ঊর্ধ্বমুখী।

 

গৃহিণীদের কাছে কিশমিশের কদর অনেক। বিশেষ করে কোনো উৎসব বা বিয়ের অনুষ্ঠান হয় তখন ফিরনির সঙ্গে কিশমিশের যোগসূত্র হয় নিবিড়ভাবে। আবার ঈদে সেমাই রান্নার সময় কিশমিশ না হলে যেন রান্না পূর্ণতা পায় না। কিশমিশের দাম এখন ৭৫০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকা কেজি। গত বছর এ কিশমিশের দাম কিছুটা কম থাকলেও বছর না ঘুরতেই পণ্যটির দাম বাড়তে থাকে।

 

পেস্তা বাদাম কিংবা দারচিনি কমবেশি ব্যবহার হয়ে থাকে বিভিন্ন উৎসবে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঈদের সময়। এ পেস্তা বাদাম বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান শান্তিনগরের ব্যবসায়ীরা। আর দারচিনি দাম হাঁকাচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা। তবে পাইকারি থেকে খুচরা দামের হেরফের অনেক বেশি।

 

কুরবানি ছাড়াও প্রতিদিন মসলা জাতীয় যেসব পণ্য সংসারে প্রয়োজন তা হলো পেঁয়াজ, রসুন আর আদা। উৎসব-পার্বণে এর চাহিদা যেন আরও বেড়ে যায়। পেঁয়াজ কয়েক দিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি। তরতর করে দুদিন না যেতেই এর দাম হয়ে যায় ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। এখন এ পেঁয়াজের দাম শ’ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ভারতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কথা শুনেই কোনো কোনো অসাধু ব্যবসায়ী হঠাৎ করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন কুরবানির সময় তাদের লক্ষ্য এ দামকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া। পেঁয়াজ যেন এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। আর কুরবানি যেন অনেক ব্যবসায়ীর জন্য পোয়াবারো।

 

পেঁয়াজের দামের সঙ্গে পাল্লা দিতে রসুনও যেন বসে নেই। কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি। অথচ এক সপ্তাহ আগে এর দাম ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আর আমদানি করা রসুনের দাম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা।

 

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাসখানেক আগে রসুনের উৎপাদন মৌসুম শেষ হয়েছে। সে হিসাবে রসুনের দাম কম থাকার কথা। চলতি বছর দেশে মোট উৎপাদিত রসুনের ৬৬ শতাংশ উৎপাদন হয়েছে চলনবিল এলাকায়। বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর দেশে ৮৬ হাজার ৪৯৯ হেক্টর জমিতে রসুনের চাষ হয়। উৎপাদন হয় প্রায় ৭ লাখ ২৪ হাজার টন রসুন।

এলাচের কেজি সাড়ে চার হাজার