ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৯:১৬:০৪ পিএম

এ বছর চালু হচ্ছে না রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র

৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১:০ এএম

এ বছর চালু হচ্ছে না রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র

ছবি: সংগ্রহ

চলতি বছরের ডিসেম্বরে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর কথা থাকলেও গ্রিড (সঞ্চালন) লাইন প্রস্তুত না হওয়ায় পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যেতে পারছে না বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যেতে আরো ছয় মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের কর্মকর্তারা।

 

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বছর খানেক আগেই চুল্লিসহ মূল অবকাঠামোর নির্মাণ সমাপ্ত হয়। বিগত বছরের অক্টোবরে পাঁচ দফায় রাশিয়া থেকে জ্বালানির (ইউরেনিয়াম) প্রথম চালানও রূপপুরে পৌঁছেছে। কিন্তু গ্রিডলাইন প্রস্তুত না হওয়ায় বিদ্যুতের উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।


নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ২৫ সালের মার্চে প্রথম ইউনিটের গ্রিড লাইনের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। তবে উৎপাদনে যেতে আরো কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে।


রূপপুর এনপিপির প্রকল্প পরিচালক ড. জাহেদুল হাছান জানান, গ্রিডলাইন প্রস্তুত হওয়ার পর উৎপাদনে যাওয়ার আগে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে হয়। প্রাথমিক বিভিন্ন পরীক্ষা সম্পন্ন করে জ্বালানি লোড করতে দুই মাসের মতো সময় প্রয়োজন হবে। এরপর পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যেতে আরো এক মাস সময় লাগবে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে গ্রিড প্রস্তুত হলে থার্ড কোয়ার্টারে অর্থাৎ আগস্টে হয়তো টেস্ট ট্রায়ালে যাওয়া সম্ভব হবে। প্রথম ইউনিট চালুর এক বছর পর অর্থাৎ ২০২৬ সালের শেষ দিকে দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করেন তিনি।


বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির অধীনে সঞ্চালন লাইন তৈরি করছে ভারতের তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কেইসি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ট্রান্সরেল লাইটিং লিমিটেড এবং লারসেন অ্যান্ড টুব্রো লিমিটেড।


পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুর রশিদ খান বলেন, প্রথম ছয় মাসে কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক ছিল। কিন্তু পরে গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে আন্দোলনের কারণে সারাদেশে অস্থিরতা তৈরি হয়। সেজন্য সঞ্চালন লাইনের নির্মাণকাজে ধীরগতি দেখা দেয়। আর ৫ আগস্টের পর কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। টানা তিন মাস কোনো কাজ না হওয়ায় আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি, ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্রিড লাইন পুরোপুরি প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি। আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে প্রথম ইউনিটের সঞ্চালন লাইনের কাজ পুরোপুরি শেষ করার টার্গেট রয়েছে। আমরা এখন পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি ঐ সময়ের মধ্যেই লাইন প্রস্তুত হয়ে যাবে।


উল্লেখ্য, ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি বাজেটের রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে তৃতীয় প্রজন্মের ভিভিইআর ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম দুটি ইউনিট রয়েছে।

এ বছর চালু হচ্ছে না রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র