ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৪:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
কমেছে মাছের দাম, স্থিতিশীল গরু-খাসি-মুরগি
৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৪:১২ পিএম
![কমেছে মাছের দাম, স্থিতিশীল গরু-খাসি-মুরগি](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/07/20241207161212_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কমেছে মাছের দাম, তবে মুরগি-গরুর মাংসসহ অন্যান্য সব ধরনের মাংসের দাম অপরিবর্তিতই রয়ে গেছে। এই অবস্থায় সবজির বাজারে ক্রেতাদের কিছুটা অসন্তোষ থাকলেও মাছ-মাংসে কিছুটা স্বস্তি মিলছে বলে জানিয়েছেন কম আয়ের মানুষজন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গতকাল বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হয় ১ হাজার টাকায়। এদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায় এবং প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য পণ্যের তুলনায় মাছের বাজারেও কিছুটা স্বস্তি মিলছে। বড় চিংড়ি মাছ বিক্রি হয় কেজিপ্রতি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়, যেখানে গত সপ্তাহেও ছিল ৭০০ টাকা পর্যন্ত। শিং মাছ বিক্রি হয় ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। এছাড়া পাঙাস ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কার্প মাছ ২৬০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০ টাকা, মলা মাছ ২৮০, কই ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে পাবদা মাছের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে যেখানে পাবদা মাছ ছিল ৩৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা, গতকাল বিক্রি হয় ৩০০ টাকা পর্যন্ত।
ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে নিম্ন আয়সহ সাধারণ ক্রেতাদের মাংসের চাহিদা মেটাতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ব্রয়লার মুরগি। তবে মাঝে মধ্যেই হুটহাট করে দাম বেড়ে যায়, তখন আবার বিক্রিও কিছুটা কমে যায়। তবে নদী ও সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ ভালো থাকায় গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে মাছের দাম কিছুটা কমেছে। বাড্ডা পাঁচতলা বাজার থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি কিনেছেন ক্রেতা মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, গরুর মাংস কিনতে গিয়ে মুরগির মাংস নিয়েছি। গত সপ্তাহেও দেখলাম ৭৫০ টাকা কেজি, আজকে ৭৮০ টাকার নিচে দেবেই না। আমিও রাগ করে চলে এসে মুরগি নিয়েছি।
বাজার করতে আসা রফিকুল ইসলাম নামে আরেকজন বলেন, অন্যান্য সপ্তাহের তুলনায় শুক্রবার বাজারে মুরগি ও মাছের দাম কিছুটা কম। তবে গরুর মাংসটা আগের মতোই। একটা সময় প্রতি সপ্তাহে একদিন গরুর মাংস খাওয়া হতো। এখন আর আগের মতো প্রতি সপ্তাহেই গরুর মাংস কেনা যায় না। কিনতে গেলেও বারবার হিসাব করতে হয়। তবে মুরগির দাম কম থাকাটা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য কিছুটা স্বস্তির জায়গা।
মুরগির মাংস বিক্রেতা মনসুর আলী বলেন, বাজারে মুরগির চাহিদা সবসময়ই বেশি থাকে। দামটাও তুলনামূলক কমই। দাম কম থাকলে আমাদের বিক্রিও ভালো থাকে, আবার বেড়ে গেলেই বিক্রি কমে যায়। এখন আলহামদুলিল্লাহ, ভালো বিক্রি হচ্ছে।
গরুর মাংস বিক্রেতা শান্ত ইসলাম বলেন, এখন খামারিরা গরু কম ছাড়ছেন। সামনে ঈদকে কেন্দ্র করে তারা গরু তৈরি করছেন। যে কারণে এখন যেগুলোও বিক্রি হচ্ছে দাম তুলনামূলক একটু বেশি দামে। তাই মাংসের বাজারেও তার প্রভাবটা পড়েছে।
তিনি বলেন, গরুর মাংস মোটামুটি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যেই আটকে আছে। আর কমবে বলে মনে হয় না। এই দামে বিক্রি করতে পারলে আমাদেরও কিছু লাভ থাকে। এর কমে বিক্রি করলে কিছু থাকে না। তবে আমরা যদি একটু দুই নম্বরি করি, তাহলেই আবার কমে বিক্রি করতে পারব। আমরা তো চর্বিটা আলাদা করে রেখে দিই, সেটা যদি মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে দিই, তাহলেই দাম কমে আসবে।
![কমেছে মাছের দাম, স্থিতিশীল গরু-খাসি-মুরগি](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)