ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৭:৩৫:৫৭ এএম

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের গতি বাড়িয়ে বাড়ানোর তাগিত

২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬:০ এএম

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের গতি বাড়িয়ে বাড়ানোর তাগিত

ছবি: সংগ্রহ

রেলওয়েকে লোকসানি খাত উল্লেখ করে এর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

 

তিনি বলেছেন, “রেলওয়ের মূল সংকট হচ্ছে, রাজস্ব নাই। আপনারাতো দেখেছেন, একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠান কী করে, লোক ছাঁটাই করে।

 

“এর মধ্যেও আমরা চেষ্টা করছি, যেন রেলের জনবল এবং বাজেট বাড়ানো যায়। কিন্তু একইসঙ্গে রেলের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন, তাদেরও কাজ করতে হবে, রেলের রাজস্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে। রেল কারখানাগুলো থেকে লোকমোটিভ ও কোচ মেরামত যেন আরও বেশি এবং দ্রুত বের করা যায় তবেই বেশি কোচ চলবে, সেইসঙ্গে রাজস্ব আয়ও বাড়বে।”

 

শুক্রবার বিকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন শেষে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।

 

রেলের নতুন কোনো কারখানা স্থাপন নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমাদের সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে, যেসব কারাখানা রয়েছে, সেগুলোকে আরো আধুনিকায়ন করে গড়ে তোলা। আমরা নতুন কিছু না করে বরং পুরনোগুলোকে আরো আধুনিকায়ন করে কীভাবে কার্যকর করা যায় সেই চেষ্টাই করছি।”

 

নতুন লোকোমটিভ, যাত্রীবাহী কোচ ও পণ্যবাহী ওয়াগান সংগ্রহ করা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল জানিয়ে তিনি বলেন, “তাই আমরা এই কারাখানাগুলো পরিদর্শন করে দেখছি যে, এখানে এগুলো বাড়ানো যায় কিনা। মানে, এখানে লোকোমটিভ এবং যাত্রীবাহী কোচ ও পণ্যবাহী ওয়াগান মেরামত করে আরো বেশি কার্যকর করা যায় কিনা সেটাই দেখার জন্য এসেছি। এখানে এসে দেখা গেছে যে দুটোই করা সম্ভব।”

 

“দেখবেন, এতো বড় ফেসিলেটিজে যা হয়, তা আমাদের প্রয়োজনই হয় না। যে ব্যবস্থাপনা রয়েছে তাতে পাবর্তীপুর লোকোমটিভ কারখানায় বছরে ৭০টি লোকোমটিভ মেরামত হওয়ার কথা কিন্তু হচ্ছে বড়জোড় ৩০টি, যা পর্যাপ্ত নয়।

 

তিনি বলেন, “আর সৈয়দপুর কারখানায় বছরে অর্ধেক কোচ মেরামত হওয়ার কথা থাকলেও তার থেকেও অনেক কর্ম মেরামত হচ্ছে। এজন্য আমাদের মেরামত কাজ আরো বাড়াতে হবে। কারাখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের লোকবল ও বাজেট সংকট থাকায় তারা পারছে না। আমরা চেষ্টা করব, তাদের লোকবল ও বাজেট সংকট সমাধানের।”

 

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শনের আগে জুমার নামাজের পর ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় নিহত সৈয়দপুরের সাজ্জাদ হোসেনের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

 

এর আগে তিনি সকালে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে নেমে বেলা ১১টায় নীলফামারী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ে আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।

 

 

তিনি বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, “নবায়নযোগ্য জ্বালানি একটা জোরের জায়গা। আমরা আগামী সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০টি প্রকল্পের জন্য টেন্ডার আহ্বান করব।

 

“আমাদের যে সমস্যা, এটি বিদ্যুতের না। সমস্যাটা হচ্ছে জ্বালানির। আমাদের গ্যাস নেই, ক্রমাগত কমে যাচ্ছে। ফলে আমরা প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করি। এজন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রিনুঅ্যাবেল এনার্জি (নবায়নযোগ্য জ্বালানি) অর্থাৎ নবায়নযোগ্য শক্তি।”

 

তিনি বলেন, “সূর্যের আলো আমাদের কিনতে হয় না। কিন্তু গ্যাস-কয়লা কিনতে হয়। এগুলো আমাদের দেশে হয় না; বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে বিদেশ থেকে কিনতে হয়। এজন্য সৌরবিদ্যুৎ এবং অন্য রিউনুঅ্যাবল এনার্জি, যদি বায়ো বিদ্যুতের সুযোগ থাকে কিংবা যদি হাইড্রোর সুযোগ থাকে, এগুলো আমাদের জন্য সুবিধাজনক।”

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের গতি বাড়িয়ে বাড়ানোর তাগিত