ঢাকা বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫ - ২:৫৪:৪৯ এএম

কানাডার উপর দ্বিগুণ শুল্কের হুমকি থেকে সরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র

১২ মার্চ, ২০২৫ | ৩:১২ পিএম

কানাডার উপর দ্বিগুণ শুল্কের হুমকি থেকে সরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগ্রহ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কানাডা থেকে আমদানি করা অ্যালুমিনিয়াম ও স্টিলের ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করার হুমকির পর উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তবে কানাডার অন্টারিও প্রদেশের প্রধান ডগ ফোর্ডের পাল্টা প্রতিক্রিয়ার পর ট্রাম্প প্রশাসন আপাতত দ্বিগুণ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা স্থগিত রেখেছে।

 

 


মঙ্গলবার (১১ মার্চ) হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো ঘোষণা করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আপাতত কানাডার ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। তবে অ্যালুমিনিয়াম ও স্টিল আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ নতুন শুল্ক পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বুধবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে।

 

 

ট্রাম্পের ঘোষণার পরই অন্টারিও প্রদেশের প্রধানমন্ত্রী ডগ ফোর্ড পাল্টা ঘোষণা দেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিকৃত বিদ্যুতের ওপরও শুল্ক বসানো হবে। অন্টারিও থেকে নিউ ইয়র্ক, মিশিগান এবং মিনেসোটার মতো রাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তিনি অন্যান্য কানাডীয় প্রদেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর শুল্ক বাড়ানোর আহ্বান জানান।

 

 

এদিকে, কানাডার আসন্ন প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পের শুল্ক পরিকল্পনার কড়া সমালোচনা করে বলেন, "এটি কানাডার প্রতিটি শ্রমিক, পরিবার ও ব্যবসার ওপর আঘাত।"

 

 

এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, "আমাদের প্রতিক্রিয়া যেন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সর্বোচ্চ এবং কানাডার ওপর সর্বনিম্ন প্রভাব ফেলে, তা নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য।"

 

 

তিনি আরও জানান, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং মুক্ত বাণিজ্যের প্রতি প্রতিশ্রুতি না দেওয়া পর্যন্ত নিজেদের নির্ধারিত শুল্ক বহাল রাখবে।

 

 

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউস ঘোষণা দেয় যে, কানাডা থেকে আমদানি করা অ্যালুমিনিয়াম ও স্টিলের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মাদক ব্যবসা ও অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে কানাডা যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি।

 

 

তবে শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই কানাডা সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের প্রতিশ্রুতি দেয়, যা উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত করে। কিন্তু সোমবার (১০ মার্চ) ডগ ফোর্ড বিদ্যুতের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

 

 


কানাডার পাল্টা প্রতিক্রিয়ার পর ট্রাম্প প্রশাসন দ্বিগুণ শুল্ক আরোপের হুমকি থেকে সরে এলেও ২৫ শতাংশ নতুন শুল্ক বহাল রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা চলছে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসন আবারও শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যা উত্তর আমেরিকার বাণিজ্য সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে।

কানাডার উপর দ্বিগুণ শুল্কের হুমকি থেকে সরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র