দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে থাকা ২৫২টি লকারের মধ্যে ২৭টি লকারের মালিকের নামের তালিকা পেয়েছে। এই ২৭ জন সবাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। লকারে অপ্রদর্শিত অর্থসম্পদ জমা রাখার বিষয়ে দুদকে আসা অভিযোগে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন সুবিধা

গত ২৬ জানুয়ারি একটি লকার খুলে চার কোটি টাকার অর্থসম্পদ পাওয়া গেছে। এছাড়া, বাকি ২৫১টি লকার পর্যায়ক্রমে খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। লকার খোলার সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে নেতিবাচক আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পরিচালক: মো. রাজীব আলী, লুৎফে আরা বেগম, প্রদীপ রঞ্জন দেবনাথ, মো. এনামুল করিম খান, মো. সাজ্জাত হোসেন খান, ইশতেকামাল হোসাইন, একেএম কামরুজ্জামান, মো. আক্কাছ উদ্দিন, ওয়াহিদা নাসরিন, ড. শাহ মো. মাইনুদ্দিন, নাসিমা খাতুন, মনি শঙ্কর কুণ্ডু, আরিয়াত হোসেইন খান, মিজানুর রহমান আকন্দ।

অতিরিক্ত পরিচালক: গোলাম মোস্তফা, মাহমুদ সালাউদ্দিন নাসের, মোস্তফা আজাদ কামাল, দিলীপ কুমার দত্ত, আলাউদ্দীন আল আজাদ। নির্বাহী পরিচালক: মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কাউসার মতিন। বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক: কাজী মনির উদ্দীন। ডেপুটি ম্যানেজার (ক্যাশ): কল্যাণী সাহা।

সাবেক কর্মকর্তাগণ: সাবেক ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, সাবেক নির্বাহী পরিচালক অসীম কুমার দাশগুপ্ত, মোহাম্মদ মাসুম কামাল ভূঁইয়া, শুভংকর সাহা।

লকারে অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার সম্ভাবনা থাকায় দুদক লকারগুলো খোলার কাজ করছে। লকার খোলার সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নেতিবাচক আচরণের অভিযোগের বিষয়টি দুদক চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে