ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১১:০৭:১১ পিএম

ক্যাশলেস লেনদেনে পিছিয়ে আছেন জাপানের প্রবীণরা

১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৮:০ পিএম

ক্যাশলেস লেনদেনে পিছিয়ে আছেন জাপানের প্রবীণরা

ছবি: সংগ্রহ

জাপানে জন্মহার কমার পাশাপাশি বয়স্ক জনসংখ্যার হিস্যা দিন দিন বাড়ছে। এ কারণে বিশ্বের অন্য দেশে ক্যাশলেস লেনদেনে দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটলেও এশিয়ার অন্যতম অর্থনীতিটি এ খাতে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। জাপান সরকারের তথ্য অনুসারে, বয়স্ক জনসংখ্যার বড় একটি অংশ এখনো নগদ লেনদেন বেশি পছন্দ করেন।

 

২০২৩ সালে জাপানে ক্যাশলেস লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১২৬ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ইয়েন, যা দেশটির সামগ্রিক লেনদেনের ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ। এ তথ্য দিয়ে জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যে মোট লেনদেনের ৪০ শতাংশ ক্যাশলেসে উন্নীত করার লক্ষ্য নেয়া হয়েছে।


সরকারি উদ্যোগ সত্ত্বেও ক্যাশলেস লেনদেনের অনুপাতে অন্য দেশের তুলনায় বেশ পিছিয়ে আছে জাপান। সংশ্লিষ্ট সংস্থা পেমেন্টস জাপান অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও অস্ট্রেলিয়ায় যথাক্রমে ৯৫ দশমিক ৩, ৮৩ দশমিক ৮ ও ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ লেনদেনের নগদ অর্থের ব্যবহার হয়নি। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে ৬৫ দশমিক ১ ও যুক্তরাষ্ট্রে ৫৩ দশমিক ২ শতাংশ লেনদেন হয়েছে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে।


জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, ক্যাশলেস পেমেন্ট গ্রহণে জাপানের ধীরগতির প্রধান কারণ হলো বয়স্ক জনসংখ্যা এবং নগদ অর্থের প্রতি প্রবল ঝোঁক। নগদের বিকল্প পদ্ধতিগুলো যাতে দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটে, এজন্য পরিষেবাদাতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার।

 

পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালে নগদের বিপরীতে ক্রেডিট কার্ড ছিল জাপানে সবচেয়ে পছন্দের বিকল্প। ক্যাশলেস লেনদেনের মধ্যে এর পরিমাণ ৮৩ দশমিক ৫ শতাংশ। এরপর কিউআর কোডের ব্যবহার ৮ দশমিক ৬, ইলেকট্রিক মানি ৫ দশমিক ১ ও ডেবিট কার্ডের ব্যবহার হয়েছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ।

 

কোনো সময়সীমা উল্লেখ না করেই জাপান সরকার জানিয়েছে, নগদবিহীন লেনদেনকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ওসাকায় অনুষ্ঠিতব্য এক্সপো ২০২৫ উপলক্ষে বিশেষ একটি ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম চালু করেছে জাপান।

ক্যাশলেস লেনদেনে পিছিয়ে আছেন জাপানের প্রবীণরা