ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৯:৩৩:১২ পিএম

ক্রেডিট কার্ডে এপ্রিলে বিদেশে লেনদেন হয়েছে ৫০৭ কোটি টাকা

১৪ জুন, ২০২৪ | ৩:৫৯ পিএম

ক্রেডিট কার্ডে এপ্রিলে বিদেশে লেনদেন হয়েছে ৫০৭ কোটি টাকা

ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে চলতি বছরের এপ্রিলে ৩ হাজার ২৯০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দেশের ভেতর লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা। বাকি ৫০৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বিদেশে। দেশের ব্যাংকগুলোর ইস্যু করা ক্রেডিট কার্ডে এ পরিমাণ অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

 

প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশে সাতটি ব্র্যান্ডের ক্রেডিট কার্ড থাকলেও প্রায় ৭২ শতাংশের বেশি লেনদেন হয়েছে কেবল ‘ভিসা’ কার্ডের মাধ্যমে। এপ্রিলে ভিসা ব্র্যান্ডের ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ৭২ দশমিক ১৯ শতাংশ। ‘মাস্টার কার্ড’-এর মাধ্যমে ৫৭৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৪০ শতাংশ হয়েছে ব্র্যান্ডটির ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে। আর এমেক্স কার্ডের মাধ্যমে ৩৩৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ২৪ শতাংশ। অর্থাৎ দেশের ক্রেডিট কার্ডে মোট লেনদেনের প্রায় শতভাগই হয়েছে মার্কিন ব্র্যান্ড ভিসা, মাস্টার কার্ড ও এমেক্সের মাধ্যমে। ডিনারস কার্ড, কিউক্যাশ, জেসিভি ও ইউনিয়নপে ব্র্যান্ডের কার্ডের মাধ্যমে তেমন কোনো লেনদেনই হয়নি।

 

দেশের অভ্যন্তরে, বাইরে ও দেশে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ড সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়েছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোয়। দেশের অভ্যন্তরে এ খাতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ৪৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এছাড়া খুচরা কেনাকাটায় ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ, পোশাক কেনাকাটায় ৯ দশমিক ১৩, সেবার বিল পরিশোধে ৮ দশমিক ৩৬, নগদ উত্তোলনে ৬ দশমিক ৬৩, ওষুধ ও ফার্মেসিতে ৪ দশমিক ৪১, অর্থ স্থানান্তরে ২ দশমিক ৯১, ট্রান্সপোর্টেশনে ২ দশমিক ৭৮, ব্যবসাসেবায় ১ দশমিক ৭৩, পেশাগত সেবায় দশমিক ৫৭ ও সরকারি সেবায় দশমিক ৩৩ শতাংশ লেনদেন হয়।

 

দেশভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের বাইরে লেনদেনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার হয়েছে ভারতে, ১৯ দশমিক ৩১ শতাংশ; যার পরিমাণ ৯৮ কোটি টাকা। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ১৩ দশমিক ১২ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ৯ দশমিক ১৯, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৭ দশমিক ৯৬, সৌদি আরবে ৭ দশমিক ২৯, সিঙ্গাপুরে ৭ দশমিক শূন্য ৩, যুক্তরাজ্যে ৬ দশমিক ২৭ ও কানাডায় ৪ দশমিক ৯১ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।

 

দেশে সবচেয়ে বেশি ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করেছে বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংক। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘কার্ব মার্কেট থেকে ডলার কেনার চেয়ে ক্রেডিট কার্ড অনেক সাশ্রয়ী। এ কারণে বিদেশগামীরা ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। আবার কার্ডে লেনদেন করলে সেটির হিসাব রাখা খুবই সহজ। সেটি ব্যক্তির ক্ষেত্রে যেমন তেমনি রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও। ডিজিটাল যেকোনো ধরনের লেনদেনকে উৎসাহ দেয়া দরকার। ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরাও এখন অনেক সচেতন। তারা লেনদেনের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন থাকতে চান।’

ক্রেডিট কার্ডে এপ্রিলে বিদেশে লেনদেন হয়েছে ৫০৭ কোটি টাকা