ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৮:০৩:৪৯ এএম

খাতুনগঞ্জে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৫ টাকা

১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:২০ এএম

খাতুনগঞ্জে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৫ টাকা

ছবি: সংগ্রহ

দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে প্রায় ১০-১৫ টাকা। এতে খুচরা পর্যায়েও পণ্যটির দাম কমায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন ভোক্তারা। বর্তমানে খাতুনগঞ্জে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ মান ও আকারভেদে ৭০-৮০ টাকা বিক্রি হয়েছে। খুচরায় আকারে বড় ও ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৫-৯০ টাকায়, যা কয়েক দিন আগেও ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। খাতুনগঞ্জের মোহাম্মদীয়া বাণিজ্যালয় আড়তের মূল্যতালিকায় গতকাল দেখা যায় প্রতিকেজি ভারতের সাউথ ও নাসিক পেঁয়াজ ৭৫-৭৮ টাকা। তুর্কি পেঁয়াজ ৭৩-৭৪ টাকা কেজি। কেরালার আদা ৭৫-৭৮ টাকা ও দেশি রসুন ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

পেঁয়াজের দাম কমায় খুশি রিকশাভ্যানে পেঁয়াজ, রসুন ও আদা ফেরি করা মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। এটি মজুত করা যায় না। তবে ভারত থেকে বেশি পেঁয়াজ আমদানি হলে আড়তেও দাম কমে যায়। খাতুনগঞ্জের আড়তের সামনে কয়েকজন মৌসুমি ব্যবসায়ী বলেন, আজ ভালো মানের পেঁয়াজ কিনেছি ৭৫ টাকায়। অনায়াসে এ পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি করতে পারব। পচা-গলা পেঁয়াজ বাদ দিলেও মোটামুটি লাভ থাকবে।

 

চকবাজর এলাকায় রিকশাভ্যানে পেঁয়াজ-রসুন বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, আজ ৮৬ টাকা ধরে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। দাম কমায় ভালো লাগছে। বিক্রয়ও ভালো হচ্ছে। আশা করছি ভালো লাভ হবে। আলমগীর আরও বলেন, পেঁয়াজপাতার সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজের চাহিদা আরও কমবে। তখন পেঁয়াজের দামও আরও কমে যাবে।
জানা যায়, বর্তমানে দেশে বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে নিয়মিত তুরস্ক ও পাকিস্তানি থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।

 

বেঙ্গল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী উত্তম কুমার সাহ শেয়ার বিজকে জানান, খাতুনগঞ্জে মান ও আকারভেদে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকা বিক্রি হয়েছে হলেও আমার এখানে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে শুধু ভারতীয় পেঁয়াজ আছে। স্থলবন্দর থেকে পাঁচ-ছয় টাকা বেশি হয় খাতুনগঞ্জে। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করেন স্থলবন্দরকেন্দ্রিক বেপারীরা। তারা ট্রাকে ট্রাকে পেঁয়াজ আড়তে পাঠান এবং মোবাইল ফোনে দাম জানিয়ে দেন। আড়তদার বিক্রির পর কমিশন রেখে বাকি টাকা ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন।

 

তিনি বলেন, বাজারে সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজের দাম কমবে, এটা স্বাভাবিক। তাছাড়া পচনশীল পণ্য হওয়ায় পেঁয়াজ বেশিদিন মজুত করা যায় না। আশা করি আগামী মাসে পাবনা ও ফরিদপুরের দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসবে।

খাতুনগঞ্জে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৫ টাকা