ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৭ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ
খেলাপি ঋণে জর্জরিত এক তৃতীয়াংশ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
৭ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৫ এএম
![খেলাপি ঋণে জর্জরিত এক তৃতীয়াংশ আর্থিক প্রতিষ্ঠান](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2025/01/07/20250107090454_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহীত
ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে (এনবিএফআই) খেলাপি ঋণের পরিমাণ উদ্বেগজনকভাবে বেড়েই চলেছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ খাতের খেলাপি ঋণ ২৬ হাজার ১৬৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা মোট ঋণের ৩৫.৫২ শতাংশ। গত নয় মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৪ হাজার ৫৯৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের জুনে এ খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ২৪ হাজার ৭১১ কোটি টাকা, যা সেপ্টেম্বর শেষে বেড়ে হয়েছে ২৬ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা। মন্দ ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৪০২ কোটি টাকা, যা মোট খেলাপি ঋণের ৮৫.৬৩ শতাংশ।
বর্তমানে ২২টি এনবিএফআইয়ের খেলাপি ঋণের হার অস্বাভাবিক। এর মধ্যে ফার্স্ট ফাইন্যান্সের খেলাপি ঋণের হার সর্বোচ্চ ৯৯.৯২ শতাংশ। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ফারইস্ট ফাইন্যান্স (৯৮.০৬%), পিপলস লিজিং (৯৭%), ইন্টারন্যাশনাল লিজিং (৯৬.১৯%) এবং ইউনিয়ন ক্যাপিটাল (৯৪.৬০%) উল্লেখযোগ্য।
পিকে হালদারের কেলেঙ্কারি, তারল্য সংকট, বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যাপ্ত তদারকির অভাব এবং ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসায়িক দুরবস্থার কারণে এ খাতে খেলাপি ঋণের হার ক্রমাগত বাড়ছে। এনবিএফআইগুলো আমানতকারীদের আস্থা হারিয়েছে এবং নতুন আমানত সংগ্রহে ব্যর্থ হচ্ছে।
খেলাপি ঋণের উচ্চ হার এ খাতের সংকটকে আরও গভীর করেছে। ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তারল্য সংকট, ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়া এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
বাংলাদেশের এনবিএফআই খাতের খেলাপি ঋণের হার বর্তমানে এক নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। খাতটি টেকসই করতে আর্থিক নীতিমালা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন এবং কার্যকর তদারকি নিশ্চিত করা জরুরি।