ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ১:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরো খবর
ঘটনা ও দৃষ্টিভঙ্গীর পার্থক্য! : মোঃ আলীমুজ্জামান
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ১:৪৩ পিএম
![ঘটনা ও দৃষ্টিভঙ্গীর পার্থক্য! : মোঃ আলীমুজ্জামান](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/11/13/20241113134333_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহীত
প্রতিটি ঘটনা ঘটে একটা মত ও অবস্থার প্রেক্ষিতে, বিচার বা বিশ্লেষণ করা হয় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে, সেটা হয়ে থাকে যিনি বিশ্লেষণ করছেন তার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। ইতিহাস সত্য প্রতিষ্ঠিত করবে তার মতো করে। পলাশীর পান্তরে নবাব সিরাজউদ্দলার পতন যে এ উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের গোড়া পত্তন করেছিল সেটা সবাই মেনেছে ২০০ বছর গোলামির জিঞ্জির ভাঙার মাধমে।
প্রসাদ ষড়যন্ত নবাবের পতনের কারণ সেটা প্রমাণিত বলেই মীরজাফরের বংশধরেরা ২৭৫ বছর পরেও নিজেদের লুকিয়ে রাখে, পরিচয় দিতে ভয় পায়। আপনি যদি ষড়যন্ত্র কারীদের অবস্থান থেকে চিন্তা করেন তাহলে নবাব আলী বোর্দি খান বৈষম্য তৈরি করে, অন্য নাতি ও কন্যাদের বঞ্চিত করে সিরাজউদ্দলা কে নবাব বানিয়েছিলেন। সুবিধা বঞ্চিত মহল প্রসাদ ষড়যন্ত্র করে নবাবের পতন সেটা তারা যক্তিক ভাবা থেকে করেছিলেন।
ইতিহাস তাদের বঞ্চিত হওয়ার বিষয় দেশসদ্রোহী ও নবাব কে হিরো বানিয়েছেন। নবাবকে হিরো বানাতে সাহায্য করেছে তাদের কর্মকাণ্ড ও অধিক লোভ থেকে। নবাবের পতন তাদের সবার এক ও অভিন্ন লক্ষ্য ছিল, সেটা করেও ছিল একতা বোদ্ধ ভাবে। সমস্যা দেখা দেয় ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতায়, দণ্ডে জড়িয়ে যায় একে অপরের বিরুদ্ধে। সে দণ্ডের সুযোগ কাজে লাগায় অন্য সহযোগী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, যারা শুধু বাবসা করতে এসেছিল। বাবসা করার সুবিধা ছিল তাদের মূল চাওয়া কিন্তু অধিক প্রাপ্তি রাষ্ট্র ক্ষমতা।
চাওয়ার থেকে অধিক প্রাপ্তির কারণে তারা জুলুম শুরু করে এ দেশের জনগণের উপর। ধান চাষের জায়গায় শুরু করে নিল চাষ। সেই জুলুম প্রতিবাদে রূপ নেয়, বিদ্রোহ শুরু হয়, বহু ত্যাগ ও রক্ত দিয়ে ১৯৪৮ সালে তারা এ উপমহাদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। প্রাসাদ ষড়যন্ত্র কারীদের অতি লোভ ও আপামর জনগণের দুর্ভোগ ইতিহাসে নবাবকে হিরো ও তাদের ভিলেন হিসাবে সত্য উঠে এসেছে। নবাব সিরাজুদ্দৌলা তিনি পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে মৃত্যু বরণ করেছিলেন। সেদিন তিনি শত চেষ্টা করে আজকের ইতিহাস লিখে যেতে পারতেন? অবশই না। তিনি তখন ছিলেন একক সুবিধা ভোগী ও অন্যদের সাথে বৈষম্য করা একজন স্বার্থবাদী মানুষ।
ইতিহাস বদলানো ও নতুন করে লেখা আসলে বেঁচে থাকা করো কাজ না, ঘটনার প্রভাবে ইতিহাস চলে যাবে আপন গন্তব্যে। সেখানে আপনি বা আমি কিভাবে থাকব বা যাদের নিয়ে ইতিহাস পরিবর্তন করতে চান তারা কিভাবে থাকবে সেটা তাদের সমাপ্তি থেকে আমরা কিভাবে শুরু করছি বা কি রেখে যেতে পারছি ভবিষ্যতে আশা মানুষগুলোর জন্য। তারা লিখবে সঠিক ইতিহাস, সেখানে আমরা কিভাবে থাকব সেটা করে যাওয়া কাজ ও সাধারণ মানুষের ভালো বা খারাপ থাকা হবে ইতিহাস লেখার মূল ভিত্তি।
- ট্যাগ সমূহঃ
- মোঃ আলীমুজ্জামান
- দৃষ্টিভঙ্গী
![ঘটনা ও দৃষ্টিভঙ্গীর পার্থক্য! : মোঃ আলীমুজ্জামান](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)