ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৭:০০:১০ পিএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ২:৩৭ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি শুরু আগামীকাল থেকে

৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ২:৩৭ পিএম

চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি শুরু আগামীকাল থেকে

ছবি: সংগ্রহ

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু করছে চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪-এর মূল তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম। এ তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সারা দেশে ৯৫ হাজার তথ্য সংগ্রহকারী এই শুমারিতে অংশ নেবেন।

 

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন জানান, শুমারির কার্যক্রম সফল করতে জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) এবং জিওকোড সমন্বিত করে একটি ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে ট্যাবলেট ও ক্যাপি পদ্ধতি। ১ কোটি ২২ লাখ ইউনিট চিহ্নিত করে সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

 

মাঠ পর্যায়ে সংগৃহীত তথ্য বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কম্পানি লিমিটেডের (বিডিসিসিএল) সমৃদ্ধ ডেটা সেন্টারে সংরক্ষণ করা হবে। পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী সকল তথ্য গোপন রাখা হবে।


এবারের শুমারির প্রতিপাদ্য হলো "অর্থনৈতিক শুমারিতে তথ্য দিন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশ নিন"। ৯০ হাজার গণনাকারী ১ লাখ ৪০ হাজার ট্যাব ব্যবহার করে সারাদেশের তথ্য সংগ্রহ করবেন। দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ও প্রবণতা সম্পর্কে আপডেটেড তথ্য প্রদানই এই শুমারির মূল লক্ষ্য।


এবারের শুমারিতে প্রথমবারের মতো বিদেশি কর্মীদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এ তথ্যের মধ্যে থাকবে তাদের কর্মক্ষেত্র, পদ, এবং লিঙ্গভিত্তিক বিভাজন। এছাড়া, দেশব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঠিক চিত্র তুলে ধরতে ৭০টি প্রশ্নের মাধ্যমে বিশদ তথ্য সংগ্রহ করা হবে।


শুমারি সফল করতে তিন ধাপে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রথম ধাপে মাস্টার ট্রেইনার, দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা ও জোনাল সমন্বয়কারী এবং তৃতীয় ধাপে গণনাকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে।


দেশে প্রথম অর্থনৈতিক শুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। এরপর ২০০১ ও ২০০৩ সালে দ্বিতীয় এবং ২০১৩ সালে তৃতীয় অর্থনৈতিক শুমারি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শুরু হচ্ছে চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি।

 

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. দিপংকর রায় বলেন, এই শুমারি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, "এই শুমারি আমাদের অর্থনৈতিক নীতি ও পরিকল্পনায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে। সবাইকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।"

 

এ শুমারি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবণতা, কাঠামো এবং বিদেশি কর্মীদের অবস্থা বুঝতে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি শুরু আগামীকাল থেকে