বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, চলতি বছরে বৈধ পথে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স আহরণ করবে বাংলাদেশ, কারণ দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রবাসীরা আবারও আস্থা ফিরে পেয়েছেন। গভর্নর একথা বলেন  ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির একজন স্বতন্ত্র পরিচালকের বিরুদ্ধে ঋণ অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার সময়।

আরও পড়ুন

টানা তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড

গভর্নর জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্তে নেমে ইসলামী ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক আবদুল জলিলের বিরুদ্ধে অভিযোগের সমর্থনে কোনো প্রমাণ পায়নি। তিনি বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত খবর কোনো তদন্তের ফল নয়, বরং ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

এছাড়া তিনি মন্তব্য করেন, ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের বিরোধিতাকারী কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে তিনি ব্যাংকিং খাতের ইতিবাচক ধারার দিকে নজর দিতে এবং বিশেষভাবে রেমিট্যান্স আহরণের ফলস্বরূপ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংকের বর্তমান পর্ষদ অত্যন্ত সফলভাবে আমানত বৃদ্ধি, বিনিয়োগ এবং রেমিট্যান্স আহরণে সাফল্য অর্জন করেছে।’

গভর্নর আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সরকারি চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে চলতি বছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। তিনি আরো বলেন, ‘প্রবাসীরা ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর আস্থা ফিরে পেয়েছে এবং এই আস্থা রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স আহরণের মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে।’

এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংক আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নে কাজ করছে বলেও জানান তিনি। সমস্যা সৃষ্টি করা ব্যাংকগুলোর ক্ষুদ্র আমানতকারীদের সম্পর্কে গভর্নর আশ্বস্ত করে বলেন, ‘তফসিলি ব্যাংকগুলোর গ্রাহকদের আমানত নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য কাজ করছি, তবে ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মতে, ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের এই ধারাবাহিকতা এবং প্রবাসীদের আস্থার বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাবে, বিশেষত রেমিট্যান্সনির্ভর অর্থনীতি থেকে।