ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৩:৫৩:২৯ পিএম

চাপের মধ্যেই হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়াল ভারত

৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:১৬ এএম

চাপের মধ্যেই হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়াল ভারত

ছবি: সংগ্রহ

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের আগস্টে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একাধিক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরইমধ্যে তাকে ফেরত দিতে ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর এর মধ্যেই জানা গেল ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত সরকার।

 

গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে গত মাসের ২৩ ডিসেম্বর নয়াদিল্লির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যার্পণের অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা।

 

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং তখন থেকেই তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।

 

সম্প্রতি তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে ভারত ঠিক কবে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে তা এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

 

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল। তবে তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া নিয়ে যে গুঞ্জন রয়েছে সেই কথাও অস্বীকার করা হয়েছে।

 

ভারতে শরণার্থী এবং আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে কোম্প সুনির্দিষ্ট আইন নেই।

 

এদিকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুম এবং অন্যান্য অপরাধের অভিযোগে ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। শেখ হাসিনা ও তার সহযোগী ১২ জনকে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাজির করতে বলেছেন ট্রাইব্যুনাল।

 

বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান বলেছেন, ২০০৯ সালে পিলখানায় ৭৪ জনের হত্যাযজ্ঞের তদন্তের অংশ হিসেবে তারা শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ভারতে যেতে চান।

 

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এমন উদ্যোগকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে নয়াদিল্লির ওপর চাপ বৃদ্ধির প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে।

চাপের মধ্যেই হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়াল ভারত