ঢাকা বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫ - ১:২৯:২০ এএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | ২:৭ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

চালের দাম বাড়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে, এটা সাময়িক : বাণিজ্য উপদেষ্টা

৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | ২:৭ পিএম

চালের দাম বাড়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে, এটা সাময়িক : বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি: সংগ্রহ

চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ কিছুটা কষ্টের মধ্যে রয়েছে, তবে এটি একটি সাময়িক সমস্যা বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাটের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

 


বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, "রমজান আসন্ন। এ সময় দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। বর্তমানে চালের বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।"

 

 

তিনি উল্লেখ করেন, "আমরা চাল আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক কমিয়েছি। আগে চাল আমদানির ক্ষেত্রে প্রায় ৬৩% শুল্ক ছিল, সেটি বর্তমানে ৩%-এ নামিয়ে আনা হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই মুহূর্তে কয়েক লাখ টন চাল সরাসরি আমদানি করা হচ্ছে, এবং আমদানির উৎস হিসেবে মিয়ানমার, পাকিস্তান ও ভারতের নাম উল্লেখ করেন।"

 


বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, "এখন চলছে আমনের ভরা মৌসুম, এবং এপ্রিল নাগাদ বোরো ধান বাজারে আসবে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী তিন মাসে চালের বাজারে যে সাময়িক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তা খুব শিগগিরই ঠিক হয়ে যাবে।"

 


শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, "বর্তমানে টিসিবি (ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) পুরোপুরি চাল সরবরাহ বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। ৫০ লাখ পরিবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় কম দামে চাল পাচ্ছে। এছাড়া, ৬৩ লাখ স্মার্ট কার্ডধারী পরিবারকে এ সপ্তাহ থেকেই টিসিবি চাল দেওয়া শুরু হবে।"

 


এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "এক কোটি কার্ডের মধ্যে কিছু দুর্নীতি ছিল। একই পরিবারের একাধিক কার্ড ছিল, যা এনআইডি ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্বৃত্তরা তৈরি করেছিল। তবে বর্তমানে আমরা এই সমস্যা সমাধান করেছি। ৩৭ কোটি কার্ড থেকে একটিও বাদ পড়েনি। যাদের কার্ড ছিল এবং সঠিক প্রাপক ছিলেন, তাদেরকে পণ্য দেওয়া হচ্ছে, এবং যারা বেঠিক ছিল তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।"

 


বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও জানান, "আমরা এখন আরো ৩৭ লাখ কার্ড বাড়াতে চাই। যদি সম্ভব হয়, এক কোটি কার্ডের পরিমাণ বাড়িয়ে আরও বেশি পরিবারকে সহায়তা প্রদান করতে চাই। এই প্রক্রিয়ায় ক্রয় এবং বিপণনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা সফল হব।"

 

 

উল্লেখযোগ্য যে, সরকারের এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো হচ্ছে, যাতে রামাজান মাসে সাধারণ মানুষের জীবনে আর্থিক চাপ কমানো যায়।

চালের দাম বাড়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে, এটা সাময়িক : বাণিজ্য উপদেষ্টা