ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৮ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ
চাল আমদানিতেও মিলছে না সুফল
৮ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৯ এএম

ছবি: সংগ্রহ
চালের দাম কমাতে সরকারের নানা উদ্যোগের পরও বাজারে সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে ভরা মৌসুমে চালের দাম রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক চালের ওপর থেকে সব আমদানি ও নিয়ন্ত্রক শুল্ক প্রত্যাহারের উদ্যোগ। তবে এর পরও দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো প্রভাব পড়েনি।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে মোটা চালের দাম কেজিপ্রতি তিন থেকে চার টাকা বেড়েছে। একই সময়কালে মাঝারি চালের দামও বেড়েছে দুই টাকা, তবে সরু চালের দাম আগের অবস্থানে রয়েছে। এক বছর আগের তুলনায় এখনকার দাম অনেকটাই বেড়েছে।
রাজধানীর বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহে মিনিকেট চালের দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। মিনিকেট চাল, যা দুই সপ্তাহ আগে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো, বর্তমানে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বিআর-২৮ জাতের চালও ২ থেকে ৫ টাকা বেড়ে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ভারতের সাথে চুক্তি অনুযায়ী চাল আমদানি আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২৪,৬৯০ টন সিদ্ধ চাল প্রথম দফায় আমদানি হয়ে ইতোমধ্যেই দেশে আসছে। এর পরবর্তী চালের চালান ১৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
অপরদিকে, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চালের দাম নিয়ন্ত্রণে বাবু বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে বস্তায় মিলগেট মূল্য না থাকা, স্টক রেজিস্টার রক্ষণাবেক্ষণ না করা এবং ক্যাশ মেমো না দেখানোয় একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে এসব পদক্ষেপের পরও দাম কমানোর কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই।
এ বিষয়ে বাবু বাজারের এক চাল বিক্রেতা মো. বরকত উল্লাহ সোহেল জানান, এবছর বন্যায় চালের সরবরাহ কমে গেছে এবং ত্রাণ হিসেবে অনেকেই অতিরিক্ত চাল কিনেছেন। যার কারণে বিক্রি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে এবং এর ফলে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, আন্তর্জাতিক বাজারের কারণে মূলত দাম বেড়েছে, তবে আমদানির পর পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
