ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১২:১৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
চিকিৎসার নামে বছরে বিদেশে যায় ৫০০ কোটি ডলার
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১২:১৭ পিএম
![চিকিৎসার নামে বছরে বিদেশে যায় ৫০০ কোটি ডলার](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/17/20241217121631_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
বিদেশে চিকিৎসার নামে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ৫০০ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ চলে যাচ্ছে, অথচ সেই অর্থ কোথায় খরচ হয় তা অজানাই থেকে যায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘ক্রস বর্ডার ডেটা ফ্লো: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। কর্মশালার আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বিদেশে চিকিৎসায় প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হলেও এর কোনো ডেটা আমাদের কাছে নেই। অনেকে পর্যটন ভিসায় বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেন, ফলে সেই অর্থের হিসাব পাওয়া কঠিন।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ডেটা স্টোরেজের কোনো নীতিমালা নেই। ডোমেস্টিক ক্লাউড সার্ভিস এখনো উন্নত হতে পারেনি, যা দেশের তথ্য সংরক্ষণ ও ব্যবহারে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্য খাতে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছি। ডেটা সংরক্ষণের আধুনিক অবকাঠামো ও পলিসি না থাকায় এ খাতের সঠিক মূল্যায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।’
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশেই এখন ডেটাকে খনিজ সম্পদের চেয়ে বেশি মূল্যবান হিসেবে গণ্য করা হয়। কয়লা বা তেল খনি থেকে ডেটা অনেক বড় সম্পদ। বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষের বিপুল ডেটা তৈরি হচ্ছে, কিন্তু তা যথাযথভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না।’
তিনি মনে করেন, ডেটাবেজ, ডেটা মাইনিং ও ডেটা স্টোরেজ বিষয়ে কাজ করলে স্বাস্থ্য, পর্যটন এবং অর্থনীতির অন্যান্য খাতে অনেক বেশি অগ্রগতি সম্ভব।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ব ব্যাংকের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট নিধি পারেখ এবং পিআরআইয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান।
সঞ্চালনা ও সূচনা বক্তব্যে পিআরআই চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার বলেন, ডেটার আদান-প্রদান ও ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে উন্নয়নের গতি বাড়ানো সম্ভব।
গভর্নর আহসান মনসুর বলেন, ‘তথ্য আদান-প্রদান হয় না বললেই চলে। যার যার তথ্য তার নিজের কাছেই সীমাবদ্ধ থাকে। এমনকি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও তথ্য আদান-প্রদানের ঘাটতি রয়েছে।’ তিনি এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আইনি কাঠামো তৈরি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আচরণ পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ কর্মশালা ‘এনঅ্যাবলিং ক্রস বর্ডার ডেটা ফ্লোস উইদিন বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্ডিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা টুয়ার্ডস রিজিওনাল ইন্টিগ্রেশন’ শীর্ষক বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত হয়।
গভর্নর আহসান মনসুর মনে করেন, বিগ ডেটা ব্যবহারের মাধ্যমে গবেষণা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের কার্যকারিতা বাড়ানো সম্ভব। তিনি বলেন, ‘সঠিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা কোন খাতে কতটুকু অগ্রগতি করতে পারব তা নিশ্চিত করতে পারি।’
এই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা ডেটার সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য খাতে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
- ট্যাগ সমূহঃ
- বছরে
- বিদেশে
- ৫০০ কোটি ডলার
![চিকিৎসার নামে বছরে বিদেশে যায় ৫০০ কোটি ডলার](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)