ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৯:৫১:২৪ পিএম

চীনা পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনা ট্রাম্পের

২২ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১:০ এএম

চীনা পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনা ট্রাম্পের

ছবি: সংগ্রহ

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার শপথ নেওয়ার পরপরই ২৬টি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। যদিও তার নির্বাচনী প্রচারণায় বাণিজ্য নিয়ে যে কঠোর অবস্থান নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেই দিকগুলো এখনো বাস্তবায়ন করেননি।

 

ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি তিনি কানাডার পণ্যে শুল্ক আরোপের নির্বাহী আদেশে সই করবেন। একই দিনে চীনের পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে। তার অভিযোগ, চীন বিশ্ববাণিজ্যের নিয়ম অপব্যবহার করছে।

 

ট্রাম্প এর আগে মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। তার অভিযোগ, এই দুই দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসী এবং ব্যথানাশক ওষুধ ফেনটানিল যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে।

 

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পাল্টা জবাবে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি শুল্ক আরোপ করে, তাহলে কানাডাও প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করবে। বর্তমানে কানাডা, চীন এবং মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ তিন বাণিজ্য অংশীদার।

 

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যে শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইটের জবাবে পাটকেল দেওয়ার মাধ্যমেই ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব। তার দাবি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে।

 

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে চীনের সহকারী প্রধানমন্ত্রী ডিং জুয়েজিয়ান যুক্তরাষ্ট্রের সুরক্ষাবাদী নীতির কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, বাণিজ্যিক ব্যবস্থায় এমন ব্যবস্থা থাকা উচিত, যেখানে সবারই সুবিধা হয়।

 

২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বিশেষ করে চীনের বিরুদ্ধে তিনি শুল্ক নীতিকে তার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হিসেবে দেখছেন।

 

বেকারত্বের হার বর্তমানে মাত্র ৪ দশমিক ১ শতাংশ, যা যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ইতিহাসে চমৎকার। তবে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, ট্রাম্পের কঠোর শুল্ক নীতির কারণে মার্কিন অর্থনীতি ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

 

ট্রাম্পের এই বাণিজ্য নীতি শুধু চীন নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মেক্সিকো এবং কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করতে পারে। শুল্ক আরোপের এই পদক্ষেপ বিশ্ববাণিজ্যের ভারসাম্যে পরিবর্তন আনতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা।

চীনা পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনা ট্রাম্পের