অন্তর্বর্তী সরকার গতকাল রাতে একটি বিবৃতিতে চুরি হওয়া অর্থ বাংলাদেশের জনগণের কাছে ফেরত আনার বিষয়ে তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস অফিস থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে সরকারের এই অঙ্গীকার ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন

অর্থনৈতিক জোনে ১৯.৯৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বেপজা

বিবৃতিতে বলা হয়, "আমরা জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং চুরি হওয়া অর্থ বাংলাদেশের জনগণের কাছে ফেরত আনতে বিশ্বজুড়ে অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করব।" সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অর্থ পাচারের ঘটনায় জনগণ ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছে এবং এটি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আওতায় আনা হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, "যদি আত্মসাৎ থেকে লাভবান হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে আশা করি সেই সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত দেওয়া হবে, যেখানে জনগণ এর ন্যায্য মালিক।" তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, লন্ডনের দ্য সানডে টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে টিউলিপ সিদ্দিক সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তার মাধ্যমে এই অর্থের উৎস সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পর তাকে বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সাথে সরকার কাজ করছে, যাতে চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হয় এবং অর্থনৈতিক অপরাধের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া যায়। সরকার আশা করছে, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য বন্ধুপ্রতিম দেশ এই অপরাধের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, "রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দুর্নীতির তদন্তের মাধ্যমে বিগত সরকারের দুর্নীতির মাত্রা চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ধরনের দুর্নীতির কারণে শুধু জনগণই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, বরং দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাও বাধাগ্রস্ত হয়েছে।"

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "চুরি হওয়া সরকারি তহবিল বাংলাদেশকে আর্থিক ঘাটতির মধ্যে ফেলেছে। বাংলাদেশের জনগণের অর্থ উদ্ধার করতে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে কাজ চালিয়ে যাব।"

এ ধরনের পদক্ষেপ দেশের অর্থনৈতিক সুরক্ষা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।