ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১২:০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
চ্যাটবটের বাজার ছাড়াবে ১ হাজার কোটি ডলার
৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১২:০ পিএম
![চ্যাটবটের বাজার ছাড়াবে ১ হাজার কোটি ডলার](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2025/01/30/20250130153639_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
দুই বছরের বেশি সময় আগে চ্যাটজিপিটির আবির্ভাব থেকে শুরু করে সম্প্রতি চীনের ডিপসিক উন্মোচন প্রযুক্তি শিল্পে বড় একটি বাজার তৈরি করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই চ্যাটবট। ২০২৪ সালের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যপী ৯৮ কোটির বেশি মানুষ চ্যাটবট ব্যবহার করে। চলতি বছর এ পরিষেবার বাজার ছাড়াবে ১ হাজার কোটি ডলার।
প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের ধরন বদলে দিয়েছে এআই চ্যাটবট। গ্রাহকসেবা থেকে শুরু করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পর্যন্ত প্রযুক্তিটি অনেক কাজকে সহজ করছে। বিভিন্ন গবেষণা ও জরিপ বলছে, ব্যবহারকারীর সময় বাঁচাতে ও দক্ষতা বাড়াতেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
ডিমান্ডসেইজের তথ্যানুযায়ী, চ্যাটবট সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় পণ্য ও সেবা বিক্রির ক্ষেত্রে, প্রায় ৪১ শতাংশ। এরপর আছে গ্রাহক সহায়তা ও বিপণন ক্ষেত্র। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই বছরের মধ্যে ২৫ শতাংশ কোম্পানির জন্য চ্যাটবট প্রধান প্রযুক্তি হয়ে উঠবে।
কোম্পানির গবেষণা বলছে, গত বছর চ্যাটবট বাজারের মূল্য ছিল ৮২৭ কোটি ডলার। ২০২৯ সালের মধ্যে এটি ২ হাজার ৯৫০ কোটি ডলার ছাড়াবে। এ সময় বাজারের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার হবে ৩০ শতাংশ। চ্যাটবট বাজারের দ্রুত সফলতার পেছনে বেশকিছু কারণ উল্লেখ করেছেন প্রযুক্তিবিদরা। প্রথমত, আরো ভালো পার্সোনালাইজেশন, অর্থাৎ ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা দেয়া। এরপর আছে শিল্পভিত্তিক চ্যাটবট, এগুলো স্বাস্থ্যসেবা, অর্থনীতি ইত্যাদি বিশেষ খাতের জন্য ডিজাইন করা হয়। সেই সঙ্গে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে চ্যাটবটকে সংযুক্ত করাও এর প্রবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এছাড়া সম্প্রতি মানবসম্পদ ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চ্যাটবটের ব্যবহার বেড়েছে।
এআই ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির অগ্রগতি চ্যাটবটকে আরো বুদ্ধিমান করে তুলছে। এছাড়া ভয়েসভিত্তিক চ্যাটবট, ভিন্ন প্লাটফর্মে কাজ করার সক্ষমতা ও স্মার্ট ডিভাইসে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের (যেমন সিরি বা গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট) সংযোগ এর ব্যবহারকে আরো বিস্তৃত করছে।
গবেষণা বলছে, অধিকাংশ অনলাইনভিত্তিক কাজে একটি করে চ্যাটবট ব্যবহার হয়, তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি। যদিও সক্রিয় ব্যবহারকারীর দিক থেকে বর্তমানে শীর্ষে আছে মেটা এআই। প্রায় ৫০ কোটি ব্যবহারকারী নিয়ে ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাজার দ্রুত বাড়ছে। পরিষেবাটি চালুর প্রায় এক বছরের মধ্যে এ মাইলফলক অর্জন করে প্লাটফর্মটি। এরপর ৩০, ২৭ ও ১০ কোটি ব্যবহারকারী নিয়ে যথাক্রমে চ্যাটজিপিটি, গুগলের জেমিনি ও মাইক্রোসফটের কোপাইলট আছে তালিকার শীর্ষ পাঁচে।
২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে মেটা এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট উন্মোচন করে ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানিটি। এ ফিচার ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ওয়েবে রয়েছে। তবে চ্যাটবটের আলোচনায় চ্যাটজিপিটির কথা না বললেই নয়। ২০২২ সালের শেষে উন্মোচনের পর প্রযুক্তি বিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সভিত্তিক সার্চ টুলটি। এরপর একে একে বাজারে প্রবেশ করে জেমিনি, কোপাইলট, ক্লডসহ আরো কিছু নাম। প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পাশাপাশি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে ওঠে এ প্রযুক্তি।
একসময় অনলাইনে কিছু খোঁজার জন্য মানুষ গুগলের ওপর নির্ভর করত। তবে এখন এআই চ্যাটবটের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় অনেকেই দ্রুত ও সরাসরি উত্তর পাওয়ার জন্য চ্যাটবট ব্যবহার করছে। আধুনিক প্রযুক্তির এ পরিবর্তন সার্চ ইঞ্জিনের ভূমিকাও ধীরে ধীরে পরিবর্তন করছে।
![চ্যাটবটের বাজার ছাড়াবে ১ হাজার কোটি ডলার](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)