ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৯:১৬:৩০ পিএম

ছয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন এ মাসেই

১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:২৫ এএম

ছয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন এ মাসেই

ছবি: সংগ্রহ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দফায় গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হলেও, কোনো কমিশনই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, কমিশনগুলো সময় বাড়িয়ে নিয়েছে এবং চলতি জানুয়ারির মধ্যেই তাদের কাজ সম্পন্ন করবে।

 

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমার সময়সূচি, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ৩ জানুয়ারি, পুলিশ। প্রশাসন সংস্কার কমিশন ১৫ জানুয়ারি, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন ৭ জানুয়ারি,সংবিধান সংস্কার কমিশন জানুয়ারির প্রথমার্ধ।


সরকারের প্রধান লক্ষ্য হলো জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’ ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রধানদের নিয়ে কাজ করবে।
এই কমিশনের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা এবং সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন, এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানরা এর সদস্য।

 

 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার ৮ আগস্ট থেকে বিভিন্ন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। ১১ সেপ্টেম্বর ছয়টি সংস্কার কমিশনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরবর্তী সময়ে আরও পাঁচটি কমিশন—স্বাস্থ্য, গণমাধ্যম, শ্রমিক অধিকার, নারীবিষয়ক এবং স্থানীয় সরকার—গঠন করা হয়। নতুন কমিশনগুলো ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেদন জমা দেবে। সব মিলিয়ে সরকার ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে।

 

 

মহান বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ এবং বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করবে। তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে ঐকমত্য চিহ্নিত করে তা বাস্তবায়নের সুপারিশ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়ও উল্লেখ করেছেন।

 


৩১টি জেলার মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল ও নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। এর মধ্য দিয়ে দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।

 


সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সরকার জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে নির্বাচন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য রয়েছে।

ছয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন এ মাসেই