ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১১:৩৯:৪৮ এএম

জানুয়ারিতেই শতভাগ বই পাবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা

২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১:০ এএম

জানুয়ারিতেই শতভাগ বই পাবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা

ছবি: সংগ্রহ

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ‘আমি আশা করছি, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা জানুয়ারি মাসেই শতভাগ বই পাবে। বিগত দিনের মতো উৎসব করে হয়তো দিতে পারব না। তবে বই ছাপানোর সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।’


গতকাল বিকালে রংপুর আরডিআরএস প্রাঙ্গণে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত ‘পঞ্চম ধাপের প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।


জাতীয়করণের আগে নিয়োগ পাওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেছেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন ও শিক্ষকদের সাধারণ মানের উন্নয়ন হয়েছে। তবে জাতীয়করণের আগে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের মানের ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে। আমাদের নিজস্ব কতগুলো ট্রেনিং প্রক্রিয়া চালু থাকে। একজন শিক্ষক নিজের উন্নয়নের জন্য উদ্যোগী হয়ে সে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারে।’

 

প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের মূল টার্গেট হলো, একজন পঞ্চম শ্রেণী পাস করা শিক্ষার্থী যেন মাতৃভাষায় সহজভাবে লিখতে-পড়তে পারে, মাতৃভাষায় নিজের মনের কথা ছোট করে লিখতে পারে। সাধারণ হিসাব, যোগ-বিয়োগ, গুণ-ভাগ যেন করতে পারে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’

 

উপদেষ্টা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি নীলফামারীর বটতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রংপুরের তারাগঞ্জের বাছুরবান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। সেখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। স্কুলের অবকাঠামো ভালো, সুসজ্জিত, তবে উপস্থিতি শতভাগ নয়। শিক্ষকরা আছেন, কিন্তু ছাত্রদের যা পারা উচিত ছিল সেটি তারা পারেনি। আমার কাছে এটি নতুন না। প্রতি বছর সারা দেশে যা জরিপ করা হয়, সেই জরিপের ফলাফলও এমনটাই।’

 

প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে সমাজে নানা ধরনের মনোভাব রয়েছে। অনেকে মনে করেন, প্রাথমিকে বাচ্চাদের সবকিছু শিখে ফেলতে হবে। আমি তা মনে করি না। দুনিয়ার অন্য শিক্ষাবিদরাও তা মনে করেন না। প্রাথমিক স্কুলের লক্ষ্য হলো সাক্ষর করে তোলা। আমরা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোযোগ বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছি।’

 

প্রাথমিকে সিলেবাস পরিবর্তন নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকে তেমন পরিবর্তনের কিছু ছিল না। তবে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর বইয়ে কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। আমাদের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে বিভিন্ন গল্প আকারে, ছবি আকারে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রতিফলন থাকবে।’

 

এরপর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত ‘পঞ্চম ধাপের প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তিনি।

জানুয়ারিতেই শতভাগ বই পাবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা