ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ২:৫৫:০৫ এএম

জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে

১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৭:০ পিএম

জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে

ছবি: সংগ্রহ

বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম জানুয়ারিতে আগের মাসের তুলনায় কমেছে। এ সময় চিনি ও ভোজ্যতেলের মূল্যহ্রাস খাদ্যপণ্যের গড় দাম কমার পেছনে ভূমিকা রেখেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিভাগের (এফএও) সর্বশেষ মাসভিত্তিক মূল্যসূচক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।


এফএওর মূল্যসূচক মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হওয়া খাদ্যপণ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। সংস্থাটি জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাপী খাদ্যমূল্যের গড় সূচকমান ১২৪ দশমিক ৯ পয়েন্টে নির্ধারণ করেছে, ডিসেম্বরে যা ছিল ১২৭ পয়েন্ট।


তবে মাসভিত্তিক এমন পতন সত্ত্বেও গত মাসে খাদ্যপণ্যের দাম আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ২ শতাংশ বেশি ছিল। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ‍শুরুর পরের মাসে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল। সে সময়ের তুলনায় গত মাসে দাম কমেছে ২২ শতাংশ।

 

এফএওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারিতে চিনির দাম আগের মাসের তুলনায় ৬ দশমিক ৮ ও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। এ দরপতনে ভূমিকা রেখেছে বৈশ্বিক সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি, আংশিকভাবে ব্রাজিলের অনুকূল আবহাওয়া ও ভারত থেকে পুনরায় চিনি রফতানি শুরু।

 

চলতি বছরের শুরুর মাসে কিছু খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে খাদ্যশস্যের দাম ডিসেম্বরের তুলনায় দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তা ৬ দশমিক ৯ শতাংশ নিম্নমুখী ছিল। এ সময় গমের রফতানি মূল্য কিছুটা কমলেও ভুট্টার দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। কারণ উৎপাদন ও মজুদ পূর্বাভাস সংশোধন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া পর্যাপ্ত সরবরাহে চালের দাম ৪ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।

 

এদিকে গত মাসে বিশ্বব্যাপী দুগ্ধজাত পণ্যের দাম মাস ভিত্তিতে ২ দশমিক ৪ এবং গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় মাখন ও গুঁড়া ‍দুধের দাম কমলেও পনিরের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী।

 

পৃথক এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিভাগ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বৈশ্বিক শস্য ব্যবহারের পূর্বাভাস সংশোধন করেছে। আগের দেয়া পূর্বাভাসের তুলনায় দশমিক ৯ শতাংশ বাড়িয়ে এ সময় মোট শস্যের ব্যবহার ২৮৬ কোটি ৯০ লাখ টন হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। চলতি অর্থবছর বিশ্বব্যাপী শস্যের মজুদ কমতে পারে আগের দেয়া পূর্বাভাসের তুলনায় ২ দশমিক ২ শতাংশ।

 

এছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থবছর বিশ্বব্যাপী শস্য আমদানি-রফতানি আগের বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ কমে ৪৮ কোটি ৩৫ লাখ টনে নেমে আসতে পারে। মূলত চীনের যব, ভুট্টা ও গমের কম চাহিদা বাণিজ্যিক কার্যক্রম কমার পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে।

জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে