ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৮:০৬:৩৪ পিএম

জাপানে চালের চাহিদা ও দাম বেড়েছে

৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ১০:৯ এএম

জাপানে চালের চাহিদা ও দাম বেড়েছে

ছবি: সংগ্রহ

রেকর্ডসংখ্যক পর্যটকের আগমন ও অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ার কারণে জাপানে এক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো চালের চাহিদা বেড়েছে। ফলে পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় খাদ্যপণ্যটির সংকট তৈরি হয়েছে দেশটিতে। 

 

চাল উৎপাদনে জাপান স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু চলতি মৌসুমে তাপপ্রবাহের কারণে ধানের ফলন কমে গেছে। তাছাড়া আকস্মিকভাবে চাহিদা বাড়ায় দেশটির সুপারমার্কেটগুলোয় চালের সংকট তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।


চলতি বছরের জুন পর্যন্ত জাপানে চালের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ১ লাখ ১০ হাজার টন বা ১ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। চাহিদার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭০ লাখ ২০ হাজার টনে। যদিও ২০১৪ সালের পর প্রতি বছর জনসংখ্যা কমার কারণে চাহিদা গড়ে এক লাখ টন করে কমেছে।


বিশ্লেষকরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি ও রেকর্ডসংখ্যক পর্যটকের আগমনে জাপানে চালের চাহিদা বেড়েছে। এছাড়া স্বল্পমেয়াদি কিছু কারণও এর পেছনে ভূমিকা রেখেছে। আগস্টের শুরুতে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছিল। ফলে আতঙ্কিত ভোক্তারা চাল ক্রয় বাড়িয়ে দিলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে ওঠে। গত বছর তাপপ্রবাহের কারণে ধানের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর প্রভাবে চালের উৎপাদন ও মান কমে যায়। ফলে সাদা চাল উৎপাদনের জন্য ধানের সংকট দেখা যায়।

 

জাপানের কৃষি, বন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, গত জুনে দেশটির বেসরকারি খাতের চালের মজুদ ১৫ লাখ ৬০ হাজার টনে নেমে আসে, যা ১৯৯৯ সালের পর সর্বনিম্ন ও আগের বছরের তুলনায় ২১ শতাংশ কম। ২০২৩ সালে বস্তাপ্রতি (প্রতি বস্তায় ৬০ কেজি) চালের দাম ১৫ হাজার ৮৬৫ ইয়েনে (প্রায় ১১০ ডলার) দাঁড়ায়, যা ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) অনুসারে, গত জুলাইয়ে চালের দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেড়েছে।

 

শিনমেইয়ের বিক্রয় বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ইউইচি উচিকাওয়া বলেন, ‘এটি সত্য যে পর্যটকদের কারণে চালের চাহিদা বাড়ছে। পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ার ফলে আমাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জেনকি সুশিকে আরো বেশি চাল সরবরাহ করতে হয়েছে।’

জাপানে চালের চাহিদা ও দাম বেড়েছে