ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৯:২৯:২০ পিএম

জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ২.৯% বেড়েছে

১ অক্টোবর, ২০২৪ | ৫:৫ পিএম

জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ২.৯% বেড়েছে

ছবি: সংগ্রহ

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ আয় করেছে ৩.১৮ বিলিয়ন বা ৩১৮ কোটি ডলার, যা আগের বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ২.৮৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলার।

 

অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) প্রথম মাস জুলাইয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ২.৯ শতাংশ বেড়ে ৩.৮২ বিলিয়ন হয়েছে। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছিল ৩.৭১ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক গত সপ্তাহে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

 

ওভেন পণ্য থেকে রপ্তানি আয় ৩.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১.৪৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যেখানে নিট পণ্যের রপ্তানি আয় ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১.৭২ বিলিয়ন ডলারে।

 

‘সাভার ও আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ২০ দিনের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন কারখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই পোশাক খাত সমস্যায় পড়েছে। রপ্তানিকারকদের যেমন আকাশপথে পণ্য পাঠাতে হয়, তেমনি অতিরিক্ত চার্জও বহন করতে হয়’, বলে জানান ব্যবসায়ী নেতা।

 

নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা আসন্ন মৌসুমের কাজের আদেশ নিয়ে খুব টেনশনে আছি। কারণ সাম্প্রতিক শ্রমিকদের অস্থিরতা এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে ক্রেতারা ধীরে ধীরে কাজের আদেশ দিচ্ছেন।’

 

‘রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ইতিবাচকভাবে ধরে রাখতে সরকারকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যদিকে, শ্রমিক অসন্তোষ চলতে থাকলে ক্রেতারা অন্য দেশে চলে যেতে পারে। তাই শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সবাইকে শিল্পের স্বার্থে কাজ করতে হবে।’ যোগ করেন ফজলে শামীম এহসান।

 

রপ্তানির বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘জুলাই মাসে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি মন্থর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সেখানে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতাকে আরও খারাপ করেছে। এর ফলে আমাদের পণ্যের চাহিদা কমছে।’

 

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি শিল্পের উৎপাদনকে ব্যাহত করেছে। দুর্বল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও শ্রমিক অসন্তোষের কারণে স্বল্প মেয়াদে শিল্প কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে, বলে জানান এ অর্থনীতিবিদ।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত জুলাই মাসে কৃষিপণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৮০.২ মিলিয়ন ডলার। এখাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১.২ শতাংশ। প্লাস্টিক পণ্য ২০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা এক বছর আগের একই সময়ে ১৬.৫ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় ১৮.৭ শতাংশ বেশি।

 

চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি আয় ৪.৫ শতাংশ বেড়ে ৯৮.৪ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। পাট ও পাটজাত পণ্যের আয় ১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৫৯ মিলিয়ন ডলার হয়েছে। বিশেষায়িত টেক্সটাইল সেক্টর ২৬.৬ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। এ খাত থেকে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৩১.৭ শতাংশ।

 

জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ২.৯% বেড়েছে