ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৯ মে, ২০২৪ | ৮:৫১ এএম
অনলাইন সংস্করণ
টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিতে নারীর ক্ষমতায়ন প্রয়োজন
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের ওয়েবিনারে বক্তারা
৯ মে, ২০২৪ | ৮:৫১ এএম
![টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিতে নারীর ক্ষমতায়ন প্রয়োজন](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/05/09/20240509085040_original_webp.webp)
বৈশ্বিক পর্যায়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। দেশের প্রেক্ষাপটে এ খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে, কর্মসংস্থানসহ এ বিষয়ক জাতীয় নীতিমালায় এখনো বৈষম্য রয়ে গেছে। টেকসই জ্বালানি খাত নিশ্চিতে ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, সেখানে পৌঁছতে হলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে নারীর ক্ষমতায়নের বিকল্প নেই।
গতকাল অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘এমপাওয়ারিং উইমেন ইন রিনিউয়েবল এনার্জি: অ্যা ফেমিনিস্ট পার্সপেক্টিভ ফ্রম বাংলাদেশ অ্যান্ড বিওন্ড’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের সভাপতি তানভীর শাকিল জয় এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান মুনীরা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন। ভার্চুয়াল এ আয়োজনে নীতিনির্ধারক, উন্নয়ন সহযোগী, জলবায়ুকর্মী, শিক্ষাবিদ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় দেশে টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিতে নারীর ক্ষমতায় ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় স্টেম শিক্ষা ও খাতে নারীদের উৎসাহ প্রদান, প্রান্তিক পর্যায়ে নারী নেতৃত্ব গড়ে তোলার পরিবেশ প্রদান, নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে কর্মপরিকল্পনাতে অগ্রাধিকার প্রদানসহ লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করে এ-সংক্রান্ত সরকারি নীতিমালা তৈরি বা সংশোধনের আহ্বান জানানো হয়।
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশনের অ্যাসোসিয়েট প্রোগ্রাম অফিসার রিফাহ তামান্না বর্ণা। জাতীয় ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জ্বালানি খাতে নারীদের অবস্থান ও বিনিয়োগ, দেশের জ্বালানি বিষয়ক নীতিমালায় নারীদের অবস্থান, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে চ্যালেঞ্জ এবং টেকসই জ্বালানি প্রভৃতি বিষয় উপস্থাপনায় তুলে ধরেন তিনি।
ভার্চুয়াল এ আয়োজনে টেকসই জ্বালানি খাত উন্নয়নে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠায় দেশের বর্তমান অবস্থা, সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় নিয়ে প্যানেল ডিসকাশন আয়োজিত হয়। অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবিরের সঞ্চালনায় প্যানেল ডিসকাশনে অংশ নেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার, ব্রাইট গ্রিন এনার্জি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া, সোলারিক গ্রুপের ডিরেক্টর নাজনীন আক্তার, ভারতের ওয়াটার রিসোর্স কাউন্সিলের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট মানসী বাল ভারগাভ, টেকনো গ্রিন-কার্বন লিমিটেডের চেয়ারপারসন আনিকা আলী ও কটন গ্রুপের পরিচালক মাঈশা মাহমুদ।
প্যানেল ডিসকাশনে বক্তারা বলেন, দেশে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি, আর্থিক নিয়ন্ত্রণের অভাবসহ লিঙ্গ অসমতা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নারীর সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করে। সংশ্লিষ্ট সরকারি সিংহভাগ নীতিমালা বা কর্মপরিকল্পনাতেও নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি গুরুত্ব কম পেয়ে থাকে। জ্বালানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু বিষয়ক ২২ নীতিমালার মধ্যে ১০টিতে নারীদের অংশগ্রহণের কথা বলা হয়েছে। তবে জেন্ডার মেইনস্ট্রিমের ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয় স্পষ্ট করা হয়নি। এ খাতে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এজন্য নারীদের এ খাতে প্রাধান্য দেয়া, স্টেম খাতে তাদের উৎসাহ প্রদান, জ্ঞান বিনিময়, দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিসহ সরকারি নীতিমালায় লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতের কোনো বিকল্প নেই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তানভীর শাকিল জয় এমপি বলেন, ‘২০০৮ সালের আগে প্রত্যেক খাতে নারীদের অবস্থান খুব একটা সন্তোষজনক অবস্থায় ছিল না। গত ১৫ বছরে নারী ক্ষমতায়নে অনন্য অবদান রেখেছে বর্তমান সরকার। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে নারীদের উন্নয়ন হয়েছে। তবে সার্বিকভাবে আশা অনুযায়ী উন্নতি করতে পারিনি। এখানে আরো উন্নতি করার অনেক জায়গা রয়েছে।’
সরকারের অনেক সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে প্রয়োজন বেটার ফ্লেক্সিবল পলিসি।’
- ট্যাগ সমূহঃ
- নবায়নযোগ্য
- জ্বালানি
- তেল
- বিশ্ববাজার
![টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিতে নারীর ক্ষমতায়ন প্রয়োজন](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)