ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৫৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
টেক্সটাইল শিল্প বাঁচাতে ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধের দাবি
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৫৯ পিএম

ছবি: সংগ্রহ
স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ডাম্পিং মূল্যে সুতা আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন দেশের টেক্সটাইল খাতের ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, দেশের অর্থনীতি ও রফতানি আয়ের অন্যতম চালিকাশক্তি টেক্সটাইল খাত। কিন্তু গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, ডলারের সংকট, উচ্চ সুদের হার এবং এলএনজি আমদানিনির্ভরতার কারণে এ খাতের ব্যবসায়ীদের নানা সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এর মধ্যে স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ডাম্পিং মূল্যে সুতা ও কাপড় স্থায়ী বাজারে প্রবেশ করে টেক্সটাইল খাতের চ্যালেঞ্জগুলোকে আরো বাড়িয়ে তুলছে। তাই স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করে সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানির ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন টেক্সটাইল মিল মালিকরা। পাশাপাশি গ্যাসের দাম ইউনিটপ্রতি ২০ টাকার নিচে নামিয়ে আনার দাবিও তুলেছেন তারা।
রাজধানীর গুলশান ক্লাবে গতকাল বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, ‘দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প টেক্সটাইল খাতে ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমরা স্বনির্ভর হিসেবে বাণিজ্য করতে চাই। আমাদের যে শিল্পগুলো সেগুলোর প্রতি সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের উৎপাদিত পেট্রোলিয়াম, এলএনজি বিক্রির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে সেখানে আমরা আমদানিনির্ভর হচ্ছি। আমাদের এখানে সুতা ও কাপড় উৎপাদন হয়, আবার আমদানিও করতে হয়। স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুই টন সুতা আসার কথা বলা হলেও আসে ১০ টন। ভারত থেকে আমদানির বিষয়ে বলা হয় কলকাতায় সুতার কারখানা আছে। কিন্তু আমরা জানি দক্ষিণ ভারত, গুজরাট থেকে এসব সুতা আসে। এতে আমাদের সুতা বিক্রি হচ্ছে না। তাই দেশের শিল্পকে বাঁচাতে সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে। আমরা বলব স্থলবন্দর সুরক্ষিত করুন। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমরা আমদানি করব।’
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল। বিটিএমএর সহ-সভাপতি মো. সালেহুদ জামান খান ও মো. শামীম ইসলামসহ বিভিন্ন টেক্সটাইল কারখানার মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘২০০২ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী টেক্সটাইল খাতকে বাঁচাতে বর্ডার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এরপর থেকে শিল্প-কারখানা কর্মসংস্থান বেড়েছে। কিন্তু বিগত সরকার নিজেদের স্বার্থরক্ষায় বর্ডার খুলে দেয়। তারপর থেকে বেআইনিভাবে পণ্য আসতে থাকে। এখন তিন মাসের আয় দিয়ে এক মাসের খরচ চালাতে হচ্ছে। আমরা আর ডাম্পিং খরচে ব্যবসা করতে চাই না। বর্তমান সরকারকে অবশ্যই এ বিষয়ে নজর দিতে হবে।’ বিটিএমএর পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার রাজিব হায়দার বলেন, ‘এলএনজিনির্ভর হয়ে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এ ধরনের ভ্রান্ত নীতির ওপর ভিত্তি করে যদি দাম নির্ধারণ করা হয়, তাহলে টেক্সটাইল শিল্প ধ্বংস হবেই।’
